Wednesday, 19 July 2017

হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে মহাসত্যের সন্ধান

হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে মহাসত্যের সন্ধান
-------------------------------------
বিশ্বে বর্তমানে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দু ধর্মই প্রাচীনতম। হিন্দু ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হল বেদ। বিশ্বে এই ধর্মগ্রন্থের প্রচলিত সংস্করণে মানব জাতির জন্য প্রেরিত সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আবির্ভাব ও পরিচিতি সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশ্বের বহু হিন্দু হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর আবির্ভাবের সংবাদ পেয়ে তাদেরই ধর্ম গ্রন্থের নির্দেশ অনুসরণ করে সেই মহাসত্যকে মেনে নিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। যারা আজও সেই মহাসত্যের সন্ধান পান নাই তাদের বিবেচনার জন্য কিছু প্রমাণ হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ থেকে তুলে ধরা হল।
অথর্ববেদ :
-----------
অথর্ব, ঋক, সাম ও যদু চারখানা বেদের মধ্যে একমাত্র অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা নাই। সাধনা ঔষধালয়ের অধ্যক্ষ বাবু যোগেশ চন্দ্র ঘোষ তার লিখিত, ‘আমরা কোন পথে’ বইয়ের ৩১৮ পৃষ্ঠায় পরমাত্মা পদত্ত অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। অথর্ব বেদ থেকে সেই মহাসত্যের সন্ধানে কয়েকটি সুক্ত বা মন্ত্র পেশ করা হল।
হ্রং হোতার মিন্দ্রো হোতার ইন্দ্রো রামা হাসুরিন্দ্রাঃ।
অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রাহ্মণ অল্লাম ॥ ৫॥
হ্রং অল্লোহ রসুল মহমদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাং।
আদল্লাহবুক মেককং আল্লা বুকং নিখাতকম ॥ ৬ ॥
অর্থাৎ - আমার অস্তিত্ব সর্বত্র বিরাজমান, আমি মহা ইন্দ্রের ইন্দ্র। আমি জেষ্ঠ্য, শ্রেষ্ঠ, পরমপূর্ণ ব্রহ্ম, আমি আল্লাহ। আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদের তূল্য সৃষ্টিতে আর কে আছে? আমি আল্লাহ। আল্লাহ আলোকময়, অক্ষয়, অবিনশ্বর, একক ও সয়ম্ভু।
অল্লা ইল্লাল্লা অনাদী স্বরূপায় অথর্বনীং শাখাং হ্রীং জানানাম
পশু সিদ্ধান জলচরান উদৃষ্টং কুরু কুরু ফট অসুর সংহারিনীং ॥ ৯॥
হ্রং আল্লোহ রসূল মহমদ রকং বরস্য
অল্লো অল্লাং ইল্লল্লোতি ইল্লাল্লাঃ ॥ ১০॥
অর্থাৎ- অথর্ব ঋষি এই বেদশাখা দর্শন করেছিলেন, তারই একদেশ এই উপনিষৎকে, জগতের বীজভূতা মায়া, জন্মদাত্রী-অল্লা মানববৃন্দের নিত্যসিদ্ধ স্বরূপ আবির্ভাব করে দেবার বাসনায় উক্ত ঋষিকে দেখিয়ে দেন। আমি অথর্ব ঋষি এ উপনিষৎ দেখে প্রার্থনা করছি, হে অল্ল! তুমি মানববৃন্দকে স্বাধীনতা দাও স্থলে, জলে, শুন্যে ও সর্বভূতে স্বাধীনতা প্রদান কর! আমি অথর্ব ঋষি ঘোষণা করছি- মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল। আর আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই।
কুন্তাপ সুক্ত : অথর্ব বেদে বিংশ অধ্যায়ে কুন্তাপ সুক্তসমূহ বর্ণিত আছে। রসূল প্রশস্তিমূলক এই সুক্তসমূহ পাপ মোচন ও বিপদ মুক্তির জন্য ভক্তিভরে পাঠ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ সেখান থেকে দুইটি সুক্ত উল্লেখ করা হল-
ইদং জনা উপশ্রুত নরাশংসস্তবিষ্যতে
ষষ্টিং সহস্রা নবতিংচ কৌরম আরুশমেষু দবহে॥ ১॥
অর্থাৎ- হে লোক সকল! মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর! প্রশংসিত জন লোকদের মধ্য থেকে উত্থিত হবেন। আমরা পলাতককে ষাট হাজার জন শত্রুর মধ্যে পেলাম। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১ কুন্তাপ সুক্ত)
আলোচ্য শ্লোকে প্রশংসিত জন এর আরবী অনুবাদ হল মুহাম্মাদ (স)। পলাতক বলতে হিজরতকারী এবং ৬০ হাজার শত্রু বলতে তৎকালীন মক্কার অধিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।
উপনরং নোন্তমসি সুক্তেন বচসা বর্ষ ভদ্রেন বচসা বয়মষ্ক
চনো দধি নো গিরোন রিক্ষেম কদাচন ॥ ১৪॥
অর্থাৎ- আমরা মহান বীরের প্রশংসা গান গাই আর সুমধুর সুরে তাঁর মহিমা কীর্তন করি। হে বীর! আমাদের এই স্তুতিগান গ্রহণ করুন তাহলে আমরা বিপদমুক্ত থাকব। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১৪ কুন্তাপ সুক্ত)
ঋগ্বেদ :
---------
বেদের আর একটি ভাগ হল ঋগ্বেদ । এ ভাগেও হযরত মুহাম্মাদ (স)-এঁর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা একটি সুক্ত উল্লেখ করছি-
অমস্বস্তা সতপতি মার্মহে মে গাব তেতিষ্ঠো অসুরো মঘীনঃ।
ত্রৈ বৃক্ষো অগ্রে দশভিঃ সহস্নৈর্বশানর ত্রয়ং রুনাশ্চিকেত॥
অর্থাৎ- সারথী, সত্যবাদী, সত্যপ্রিয়, অতিবুদ্ধিমান, শক্তিমান, দয়ালু, মামহ (মুহাম্মাদ) তাঁর বাণী দ্বারা আমাকে আশির্বাদ করেছেন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ)-এর দাস, সর্বগুণ সম্পন্ন, বিশ্বের শান্তি বাহক (বিশ্ব নবী) দশ সহস্র সহচরসহ খ্যাতি (মক্কা বিজয়) অর্জন করেছেন। (ঋগ্বেদঃ ৫: ২৭-১)
আলোচ্য শ্লোকে মামাহ শব্দের অর্থ হল মুহাম্মাদ (স), সর্বশক্তিমানের দাস অর্থ হল আল্লাহর দাস, বিশ্বের শান্তি বাহক অর্থ হল রহমাতুল্লিল আলামীন এবং মক্কা বিজয়কালীন দশ সাহাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদুর্বেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল যদুর্বেদ। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর রূপ বিবর্জিত ও একত্ব প্রসংগে বেদব্যসের এ প্রার্থনাটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়-
রূপংরূপ বিবজ্জি তস্য ভবতো।
ধ্যানেন যৎ কল্পিতং।
স্তত্যা নর্বাচনীয় তাহা খিলগুরো দুরীকৃতা যন্ত্রয়া।
ব্যপিতষ্ণ নিরাকৃতং।
ভগবত যত্তীর্থ যাত্রাদিনা।
ক্ষন্তব্যং জগদীশ তদবিকল তাদোষত্রয়ং মৎকৃত্তম।
অর্থাৎ- তুমি রূপ বিবর্জিত, আমি ধ্যানে তোমার রূপ কল্পনা করেছি। তুমি অখিল গুরু ও বাক্যের অতীত, আমি স্তব দ্বারা সেই অনির্বচনীয়তা দুর করেছি। তুমি সর্বব্যাপী, কিন্তু আমি তীর্থ যাত্রাদী দ্বারা সর্বব্যাপীত্ব নিরাকৃত করেছি। অতএব হে জগদীশ! তুমি আমার বিকলতা দোষত্রয় ক্ষমা কর। - (যজুর্বেদঃ ১৭ : ৩০)
বেদব্যসের উল্লেখিত প্রার্থনাটি লক্ষ্য করলে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি পরিপূর্ণ একেশ্বর বাদী ছিলেন। এছাড়া তার পূর্বসুরী ঋষিগণও একেশ্বরবাদী ছিলেন, যাদের নিকট থেকে তিনি একত্ববাদের দীক্ষা লাভ করেছেন।
সামবেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল সামবেদ। সেখানে একটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স), কুরআন ও নুরে মুহাম্মাদীর পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।
অহমিধি পিতুঃ পরিমেধা মৃতস্য জগ্রহ
অহং সূর্য্য ইবাজনি (সামবেদঃ গ্র২ : ৬ : ৮)
অর্থাৎ- আহমাদ (মুহাম্মাদ) তাঁর প্রভুর (আল্লাহ) নিকট থেকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ শরীয়ত (কুরআন) প্রাপ্ত হয়েছেন। আমি সূর্য রশ্মির ন্যায় তাঁর নিকট থেকে (নুরে মুহাম্মাদী থেকে) আলো গ্রহণ করি।
উত্তরায়ন বেদ :
----------------
উত্তরায়ন বেদ হল বেদের সার-সংক্ষেপ। সেখানে অনকাহি নামে একটি সুক্ত রয়েছে যা প্রাচীন কাল থেকে পরলোক যাত্রীর কানে পাঠ করার নিয়ম প্রচলিত। সুক্তটি হল-
লা ইলহা হরতি পাপম, ইল্ল ইলহা পরম পদম।
জন্ম বৈকুন্ঠ পর অপ ইনুতি, ত জপি নাম মোহাম্মদম॥
অর্থাৎ- ‘লা ইলাহা ইল্লাহ বললে পাপ মোচন হয় এবং উচ্চ পদবী লাভ হয়। যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করতে চাও মোহাম্মাদ নাম জপ কর।’
উল্লিখিত সুক্তটি মুসলমানদের মৃত্যুকালীন কলেমার তালকীনের অনুরূপ। যা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি যুগ যুগ ধরে ব্রাহ্মনগণ পরলোক যাত্রীর কানে কানে পাঠ করে আসছেন।
ভবিষ্যপুরাণ :
--------------
ভবিষ্যপুরাণ হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ। সেখানেও কয়েকটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর পরিচয় ও আবির্ভাবের স্থান বর্ণিত আছে।
এতস্লিন্নন্তরে ম্লেচ আচার্যেন সমন্বিতঃ।
মহামদ ইতি খ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিতঃ॥ ৫॥
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্
গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈঃ
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ তুষ্টাব মনসা হরম্॥ ৬॥
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরা সুরনাশায় বহু মায়া প্রবর্তিনে॥ ৭॥
ভোজরাজ উবাচ-
ম্লেচ্ছৈর্গুপ্তায় শুদ্ধায়সচ্চিদান
ন্দরূপিণে
ত্বং মাং হি কিঙ্করং বিদ্ধি শরণার্থ মুপাগতম॥ ৮॥
অর্থাৎ- ঠিক এ সময় মহামদ (মুহম্মাদ স) নামে এক ব্যক্তি- যার বাস মরুস্থলে (আরব দেশে)- আপন দলবলসহ আবির্ভূত হবেন। হে আরবের প্রভু! হে জগদগুরু! তোমার প্রতি আমার স্তুতিবাদ। তুমি জগতের সমুদয় কলুষতা নাশের বহু উপায় জান, তোমাকে নমস্কার। হে পবিত্র পুরুষ! আমি তোমার দাস। আমাকে তোমার চরণতলে স্থান দাও।
মহর্ষি বেদব্যস অন্যত্র বলেন : ভাবীকালে মহামদ জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর নিদর্শন এই যে, মেঘখন্ড তাঁকে ছায়া দান করবে। তাঁর শরীরে কোন ছায়া থাকবে না। সাংসারিক ভোগ-বিলাসের প্রতি তিনি আকৃষ্ট না হয়ে সর্বদা পরকালের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আরবের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ তাঁর শত্র“তা করবে। তিনি প্রভুর প্রিয়পাত্র হবেন। প্রভু তাকে তাঁকে ত্রিশ অধ্যায় (পারা) বিশিষ্ট পুরাণ (কুরআন) দান করবেন।
কল্কি পুরান :
-------------
হিন্দুদের আর একটি ধর্মীয় গ্রন্থ কল্কি পুরাণ। সেখানে মানব জাতির শেষ অবতার (নবী) কল্কির পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে-
শম্ভলে বিষ্ণুুযশা সোগৃহে প্রাদুর্ভাবাম্য
হম
সমতাং মাতরি বিজেকণ্যায়নং তন্মিদেশতঃ ॥ ৫॥
অর্থাৎ- আমি শম্ভল দ্বীপে বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণের গৃহে সুমতি নামক ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হব। -(৫ নং সুক্ত)
এখানে প্রাচীন শম্ভল দ্বীপ হল আরব উপদ্বীপ, বিষ্ণুযশা এর আরবী অনুবাদ আবদুল্লাহ এবং সুমতি এর আরবী অনুবাদ- আমিনা।
মহাভারত :
-----------
সর্বশেষ অবতার কল্কি সম্বন্ধে মহাভারতে বলা হয়েছে- কালক্রমে শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশা নামে এক ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হবেন। মহাবীর মহানুভব কল্কি সেই ব্রাহ্মণ গৃহে জন্ম পরিগ্রহণ করবেন। তাঁহার মনন মাত্রই সমুদয় বাহন কবচ, বিবিধ অয়ুধ ও ভুরিভুরি যোদ্ধা উপস্থিত হবেন। তিনি ধর্ম বিজয়ী ও সম্রাট হয়ে পর্যাকুল লোক সকলের প্রতি প্রসন্ন হবেন। ক্ষয়কারী যুগ পরিবর্তক সেই দীপ্ত পুরুষ উত্থিত ও ব্রাহ্মণগণ পরিবৃত হয়ে সর্বত্র ম্লেচ্ছগণকে উৎসাহিত করবেন। -(কালী প্রসাদ সিংহের অনুবাদ:১৮১ অধ্যায়)
বেদ, পুরাণ ও মহাভারতের উল্লেখিত বর্ণনায় অকাট্যভাবে প্রমানিত হয় যে, সনাতন হিন্দু ধর্ম একেশ্বরবাদী ছিল। পূর্বপুরুষ ও পূর্বসুরী সাধকগণও একেশ্বর বাদী ছিলেন। হিন্দু সমাজের অনেক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, সর্বশেষ অবতার কল্কি সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (স) ছাড়া আর কেহ হতে পারেন না। তাঁদের ধর্মগ্রন্থে আল্লাহর একত্ব ও শেষ নবী মুহাম্মাদ (স)-এর প্রশংসা ও আবির্ভাবের যে সব ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে তা সেই মহাসত্যেরই প্রমাণ। তাই তাঁরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থেও নির্দেশনা মোতাবেক সেই মহাসত্যের ডাকে সাড়া দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে জীবনকে ধন্য করেছেন এবং অন্যান্যদের জন্য আদর্শ স্থাপন করেছেন

হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :- রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :- ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ ) অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই । ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) । রেফারেন্স সহ দিলাম । ৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥ বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)। “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) । “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) । ৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥ ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ] ৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ - [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।] ৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – [ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।] জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন ।