হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে মহাসত্যের সন্ধান
-------------------------------------
বিশ্বে বর্তমানে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দু ধর্মই প্রাচীনতম। হিন্দু ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হল বেদ। বিশ্বে এই ধর্মগ্রন্থের প্রচলিত সংস্করণে মানব জাতির জন্য প্রেরিত সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আবির্ভাব ও পরিচিতি সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশ্বের বহু হিন্দু হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর আবির্ভাবের সংবাদ পেয়ে তাদেরই ধর্ম গ্রন্থের নির্দেশ অনুসরণ করে সেই মহাসত্যকে মেনে নিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। যারা আজও সেই মহাসত্যের সন্ধান পান নাই তাদের বিবেচনার জন্য কিছু প্রমাণ হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ থেকে তুলে ধরা হল।
অথর্ববেদ :
-----------
অথর্ব, ঋক, সাম ও যদু চারখানা বেদের মধ্যে একমাত্র অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা নাই। সাধনা ঔষধালয়ের অধ্যক্ষ বাবু যোগেশ চন্দ্র ঘোষ তার লিখিত, ‘আমরা কোন পথে’ বইয়ের ৩১৮ পৃষ্ঠায় পরমাত্মা পদত্ত অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। অথর্ব বেদ থেকে সেই মহাসত্যের সন্ধানে কয়েকটি সুক্ত বা মন্ত্র পেশ করা হল।
হ্রং হোতার মিন্দ্রো হোতার ইন্দ্রো রামা হাসুরিন্দ্রাঃ।
অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রাহ্মণ অল্লাম ॥ ৫॥
হ্রং অল্লোহ রসুল মহমদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাং।
আদল্লাহবুক মেককং আল্লা বুকং নিখাতকম ॥ ৬ ॥
অর্থাৎ - আমার অস্তিত্ব সর্বত্র বিরাজমান, আমি মহা ইন্দ্রের ইন্দ্র। আমি জেষ্ঠ্য, শ্রেষ্ঠ, পরমপূর্ণ ব্রহ্ম, আমি আল্লাহ। আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদের তূল্য সৃষ্টিতে আর কে আছে? আমি আল্লাহ। আল্লাহ আলোকময়, অক্ষয়, অবিনশ্বর, একক ও সয়ম্ভু।
অল্লা ইল্লাল্লা অনাদী স্বরূপায় অথর্বনীং শাখাং হ্রীং জানানাম
পশু সিদ্ধান জলচরান উদৃষ্টং কুরু কুরু ফট অসুর সংহারিনীং ॥ ৯॥
হ্রং আল্লোহ রসূল মহমদ রকং বরস্য
অল্লো অল্লাং ইল্লল্লোতি ইল্লাল্লাঃ ॥ ১০॥
অর্থাৎ- অথর্ব ঋষি এই বেদশাখা দর্শন করেছিলেন, তারই একদেশ এই উপনিষৎকে, জগতের বীজভূতা মায়া, জন্মদাত্রী-অল্লা মানববৃন্দের নিত্যসিদ্ধ স্বরূপ আবির্ভাব করে দেবার বাসনায় উক্ত ঋষিকে দেখিয়ে দেন। আমি অথর্ব ঋষি এ উপনিষৎ দেখে প্রার্থনা করছি, হে অল্ল! তুমি মানববৃন্দকে স্বাধীনতা দাও স্থলে, জলে, শুন্যে ও সর্বভূতে স্বাধীনতা প্রদান কর! আমি অথর্ব ঋষি ঘোষণা করছি- মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল। আর আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই।
কুন্তাপ সুক্ত : অথর্ব বেদে বিংশ অধ্যায়ে কুন্তাপ সুক্তসমূহ বর্ণিত আছে। রসূল প্রশস্তিমূলক এই সুক্তসমূহ পাপ মোচন ও বিপদ মুক্তির জন্য ভক্তিভরে পাঠ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ সেখান থেকে দুইটি সুক্ত উল্লেখ করা হল-
ইদং জনা উপশ্রুত নরাশংসস্তবিষ্যতে
ষষ্টিং সহস্রা নবতিংচ কৌরম আরুশমেষু দবহে॥ ১॥
অর্থাৎ- হে লোক সকল! মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর! প্রশংসিত জন লোকদের মধ্য থেকে উত্থিত হবেন। আমরা পলাতককে ষাট হাজার জন শত্রুর মধ্যে পেলাম। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১ কুন্তাপ সুক্ত)
আলোচ্য শ্লোকে প্রশংসিত জন এর আরবী অনুবাদ হল মুহাম্মাদ (স)। পলাতক বলতে হিজরতকারী এবং ৬০ হাজার শত্রু বলতে তৎকালীন মক্কার অধিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।
উপনরং নোন্তমসি সুক্তেন বচসা বর্ষ ভদ্রেন বচসা বয়মষ্ক
চনো দধি নো গিরোন রিক্ষেম কদাচন ॥ ১৪॥
অর্থাৎ- আমরা মহান বীরের প্রশংসা গান গাই আর সুমধুর সুরে তাঁর মহিমা কীর্তন করি। হে বীর! আমাদের এই স্তুতিগান গ্রহণ করুন তাহলে আমরা বিপদমুক্ত থাকব। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১৪ কুন্তাপ সুক্ত)
ঋগ্বেদ :
---------
বেদের আর একটি ভাগ হল ঋগ্বেদ । এ ভাগেও হযরত মুহাম্মাদ (স)-এঁর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা একটি সুক্ত উল্লেখ করছি-
অমস্বস্তা সতপতি মার্মহে মে গাব তেতিষ্ঠো অসুরো মঘীনঃ।
ত্রৈ বৃক্ষো অগ্রে দশভিঃ সহস্নৈর্বশানর ত্রয়ং রুনাশ্চিকেত॥
অর্থাৎ- সারথী, সত্যবাদী, সত্যপ্রিয়, অতিবুদ্ধিমান, শক্তিমান, দয়ালু, মামহ (মুহাম্মাদ) তাঁর বাণী দ্বারা আমাকে আশির্বাদ করেছেন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ)-এর দাস, সর্বগুণ সম্পন্ন, বিশ্বের শান্তি বাহক (বিশ্ব নবী) দশ সহস্র সহচরসহ খ্যাতি (মক্কা বিজয়) অর্জন করেছেন। (ঋগ্বেদঃ ৫: ২৭-১)
আলোচ্য শ্লোকে মামাহ শব্দের অর্থ হল মুহাম্মাদ (স), সর্বশক্তিমানের দাস অর্থ হল আল্লাহর দাস, বিশ্বের শান্তি বাহক অর্থ হল রহমাতুল্লিল আলামীন এবং মক্কা বিজয়কালীন দশ সাহাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদুর্বেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল যদুর্বেদ। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর রূপ বিবর্জিত ও একত্ব প্রসংগে বেদব্যসের এ প্রার্থনাটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়-
রূপংরূপ বিবজ্জি তস্য ভবতো।
ধ্যানেন যৎ কল্পিতং।
স্তত্যা নর্বাচনীয় তাহা খিলগুরো দুরীকৃতা যন্ত্রয়া।
ব্যপিতষ্ণ নিরাকৃতং।
ভগবত যত্তীর্থ যাত্রাদিনা।
ক্ষন্তব্যং জগদীশ তদবিকল তাদোষত্রয়ং মৎকৃত্তম।
অর্থাৎ- তুমি রূপ বিবর্জিত, আমি ধ্যানে তোমার রূপ কল্পনা করেছি। তুমি অখিল গুরু ও বাক্যের অতীত, আমি স্তব দ্বারা সেই অনির্বচনীয়তা দুর করেছি। তুমি সর্বব্যাপী, কিন্তু আমি তীর্থ যাত্রাদী দ্বারা সর্বব্যাপীত্ব নিরাকৃত করেছি। অতএব হে জগদীশ! তুমি আমার বিকলতা দোষত্রয় ক্ষমা কর। - (যজুর্বেদঃ ১৭ : ৩০)
বেদব্যসের উল্লেখিত প্রার্থনাটি লক্ষ্য করলে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি পরিপূর্ণ একেশ্বর বাদী ছিলেন। এছাড়া তার পূর্বসুরী ঋষিগণও একেশ্বরবাদী ছিলেন, যাদের নিকট থেকে তিনি একত্ববাদের দীক্ষা লাভ করেছেন।
সামবেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল সামবেদ। সেখানে একটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স), কুরআন ও নুরে মুহাম্মাদীর পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।
অহমিধি পিতুঃ পরিমেধা মৃতস্য জগ্রহ
অহং সূর্য্য ইবাজনি (সামবেদঃ গ্র২ : ৬ : ৮)
অর্থাৎ- আহমাদ (মুহাম্মাদ) তাঁর প্রভুর (আল্লাহ) নিকট থেকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ শরীয়ত (কুরআন) প্রাপ্ত হয়েছেন। আমি সূর্য রশ্মির ন্যায় তাঁর নিকট থেকে (নুরে মুহাম্মাদী থেকে) আলো গ্রহণ করি।
উত্তরায়ন বেদ :
----------------
উত্তরায়ন বেদ হল বেদের সার-সংক্ষেপ। সেখানে অনকাহি নামে একটি সুক্ত রয়েছে যা প্রাচীন কাল থেকে পরলোক যাত্রীর কানে পাঠ করার নিয়ম প্রচলিত। সুক্তটি হল-
লা ইলহা হরতি পাপম, ইল্ল ইলহা পরম পদম।
জন্ম বৈকুন্ঠ পর অপ ইনুতি, ত জপি নাম মোহাম্মদম॥
অর্থাৎ- ‘লা ইলাহা ইল্লাহ বললে পাপ মোচন হয় এবং উচ্চ পদবী লাভ হয়। যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করতে চাও মোহাম্মাদ নাম জপ কর।’
উল্লিখিত সুক্তটি মুসলমানদের মৃত্যুকালীন কলেমার তালকীনের অনুরূপ। যা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি যুগ যুগ ধরে ব্রাহ্মনগণ পরলোক যাত্রীর কানে কানে পাঠ করে আসছেন।
ভবিষ্যপুরাণ :
--------------
ভবিষ্যপুরাণ হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ। সেখানেও কয়েকটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর পরিচয় ও আবির্ভাবের স্থান বর্ণিত আছে।
এতস্লিন্নন্তরে ম্লেচ আচার্যেন সমন্বিতঃ।
মহামদ ইতি খ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিতঃ॥ ৫॥
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্
গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈঃ
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ তুষ্টাব মনসা হরম্॥ ৬॥
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরা সুরনাশায় বহু মায়া প্রবর্তিনে॥ ৭॥
ভোজরাজ উবাচ-
ম্লেচ্ছৈর্গুপ্তায় শুদ্ধায়সচ্চিদান
ন্দরূপিণে
ত্বং মাং হি কিঙ্করং বিদ্ধি শরণার্থ মুপাগতম॥ ৮॥
অর্থাৎ- ঠিক এ সময় মহামদ (মুহম্মাদ স) নামে এক ব্যক্তি- যার বাস মরুস্থলে (আরব দেশে)- আপন দলবলসহ আবির্ভূত হবেন। হে আরবের প্রভু! হে জগদগুরু! তোমার প্রতি আমার স্তুতিবাদ। তুমি জগতের সমুদয় কলুষতা নাশের বহু উপায় জান, তোমাকে নমস্কার। হে পবিত্র পুরুষ! আমি তোমার দাস। আমাকে তোমার চরণতলে স্থান দাও।
মহর্ষি বেদব্যস অন্যত্র বলেন : ভাবীকালে মহামদ জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর নিদর্শন এই যে, মেঘখন্ড তাঁকে ছায়া দান করবে। তাঁর শরীরে কোন ছায়া থাকবে না। সাংসারিক ভোগ-বিলাসের প্রতি তিনি আকৃষ্ট না হয়ে সর্বদা পরকালের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আরবের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ তাঁর শত্র“তা করবে। তিনি প্রভুর প্রিয়পাত্র হবেন। প্রভু তাকে তাঁকে ত্রিশ অধ্যায় (পারা) বিশিষ্ট পুরাণ (কুরআন) দান করবেন।
কল্কি পুরান :
-------------
হিন্দুদের আর একটি ধর্মীয় গ্রন্থ কল্কি পুরাণ। সেখানে মানব জাতির শেষ অবতার (নবী) কল্কির পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে-
শম্ভলে বিষ্ণুুযশা সোগৃহে প্রাদুর্ভাবাম্য
হম
সমতাং মাতরি বিজেকণ্যায়নং তন্মিদেশতঃ ॥ ৫॥
অর্থাৎ- আমি শম্ভল দ্বীপে বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণের গৃহে সুমতি নামক ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হব। -(৫ নং সুক্ত)
এখানে প্রাচীন শম্ভল দ্বীপ হল আরব উপদ্বীপ, বিষ্ণুযশা এর আরবী অনুবাদ আবদুল্লাহ এবং সুমতি এর আরবী অনুবাদ- আমিনা।
মহাভারত :
-----------
সর্বশেষ অবতার কল্কি সম্বন্ধে মহাভারতে বলা হয়েছে- কালক্রমে শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশা নামে এক ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হবেন। মহাবীর মহানুভব কল্কি সেই ব্রাহ্মণ গৃহে জন্ম পরিগ্রহণ করবেন। তাঁহার মনন মাত্রই সমুদয় বাহন কবচ, বিবিধ অয়ুধ ও ভুরিভুরি যোদ্ধা উপস্থিত হবেন। তিনি ধর্ম বিজয়ী ও সম্রাট হয়ে পর্যাকুল লোক সকলের প্রতি প্রসন্ন হবেন। ক্ষয়কারী যুগ পরিবর্তক সেই দীপ্ত পুরুষ উত্থিত ও ব্রাহ্মণগণ পরিবৃত হয়ে সর্বত্র ম্লেচ্ছগণকে উৎসাহিত করবেন। -(কালী প্রসাদ সিংহের অনুবাদ:১৮১ অধ্যায়)
বেদ, পুরাণ ও মহাভারতের উল্লেখিত বর্ণনায় অকাট্যভাবে প্রমানিত হয় যে, সনাতন হিন্দু ধর্ম একেশ্বরবাদী ছিল। পূর্বপুরুষ ও পূর্বসুরী সাধকগণও একেশ্বর বাদী ছিলেন। হিন্দু সমাজের অনেক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, সর্বশেষ অবতার কল্কি সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (স) ছাড়া আর কেহ হতে পারেন না। তাঁদের ধর্মগ্রন্থে আল্লাহর একত্ব ও শেষ নবী মুহাম্মাদ (স)-এর প্রশংসা ও আবির্ভাবের যে সব ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে তা সেই মহাসত্যেরই প্রমাণ। তাই তাঁরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থেও নির্দেশনা মোতাবেক সেই মহাসত্যের ডাকে সাড়া দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে জীবনকে ধন্য করেছেন এবং অন্যান্যদের জন্য আদর্শ স্থাপন করেছেন
হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :- রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :- ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ ) অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই । ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) । রেফারেন্স সহ দিলাম । ৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥ বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)। “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) । “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) । ৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥ ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ] ৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ - [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।] ৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – [ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।] জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন ।
-------------------------------------
বিশ্বে বর্তমানে প্রচলিত ধর্মসমূহের মধ্যে হিন্দু ধর্মই প্রাচীনতম। হিন্দু ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হল বেদ। বিশ্বে এই ধর্মগ্রন্থের প্রচলিত সংস্করণে মানব জাতির জন্য প্রেরিত সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আবির্ভাব ও পরিচিতি সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশ্বের বহু হিন্দু হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর আবির্ভাবের সংবাদ পেয়ে তাদেরই ধর্ম গ্রন্থের নির্দেশ অনুসরণ করে সেই মহাসত্যকে মেনে নিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। যারা আজও সেই মহাসত্যের সন্ধান পান নাই তাদের বিবেচনার জন্য কিছু প্রমাণ হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ থেকে তুলে ধরা হল।
অথর্ববেদ :
-----------
অথর্ব, ঋক, সাম ও যদু চারখানা বেদের মধ্যে একমাত্র অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা নাই। সাধনা ঔষধালয়ের অধ্যক্ষ বাবু যোগেশ চন্দ্র ঘোষ তার লিখিত, ‘আমরা কোন পথে’ বইয়ের ৩১৮ পৃষ্ঠায় পরমাত্মা পদত্ত অথর্ব বেদের কোন রচয়িতা না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। অথর্ব বেদ থেকে সেই মহাসত্যের সন্ধানে কয়েকটি সুক্ত বা মন্ত্র পেশ করা হল।
হ্রং হোতার মিন্দ্রো হোতার ইন্দ্রো রামা হাসুরিন্দ্রাঃ।
অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রাহ্মণ অল্লাম ॥ ৫॥
হ্রং অল্লোহ রসুল মহমদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাং।
আদল্লাহবুক মেককং আল্লা বুকং নিখাতকম ॥ ৬ ॥
অর্থাৎ - আমার অস্তিত্ব সর্বত্র বিরাজমান, আমি মহা ইন্দ্রের ইন্দ্র। আমি জেষ্ঠ্য, শ্রেষ্ঠ, পরমপূর্ণ ব্রহ্ম, আমি আল্লাহ। আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদের তূল্য সৃষ্টিতে আর কে আছে? আমি আল্লাহ। আল্লাহ আলোকময়, অক্ষয়, অবিনশ্বর, একক ও সয়ম্ভু।
অল্লা ইল্লাল্লা অনাদী স্বরূপায় অথর্বনীং শাখাং হ্রীং জানানাম
পশু সিদ্ধান জলচরান উদৃষ্টং কুরু কুরু ফট অসুর সংহারিনীং ॥ ৯॥
হ্রং আল্লোহ রসূল মহমদ রকং বরস্য
অল্লো অল্লাং ইল্লল্লোতি ইল্লাল্লাঃ ॥ ১০॥
অর্থাৎ- অথর্ব ঋষি এই বেদশাখা দর্শন করেছিলেন, তারই একদেশ এই উপনিষৎকে, জগতের বীজভূতা মায়া, জন্মদাত্রী-অল্লা মানববৃন্দের নিত্যসিদ্ধ স্বরূপ আবির্ভাব করে দেবার বাসনায় উক্ত ঋষিকে দেখিয়ে দেন। আমি অথর্ব ঋষি এ উপনিষৎ দেখে প্রার্থনা করছি, হে অল্ল! তুমি মানববৃন্দকে স্বাধীনতা দাও স্থলে, জলে, শুন্যে ও সর্বভূতে স্বাধীনতা প্রদান কর! আমি অথর্ব ঋষি ঘোষণা করছি- মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল। আর আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই।
কুন্তাপ সুক্ত : অথর্ব বেদে বিংশ অধ্যায়ে কুন্তাপ সুক্তসমূহ বর্ণিত আছে। রসূল প্রশস্তিমূলক এই সুক্তসমূহ পাপ মোচন ও বিপদ মুক্তির জন্য ভক্তিভরে পাঠ করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ সেখান থেকে দুইটি সুক্ত উল্লেখ করা হল-
ইদং জনা উপশ্রুত নরাশংসস্তবিষ্যতে
ষষ্টিং সহস্রা নবতিংচ কৌরম আরুশমেষু দবহে॥ ১॥
অর্থাৎ- হে লোক সকল! মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর! প্রশংসিত জন লোকদের মধ্য থেকে উত্থিত হবেন। আমরা পলাতককে ষাট হাজার জন শত্রুর মধ্যে পেলাম। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১ কুন্তাপ সুক্ত)
আলোচ্য শ্লোকে প্রশংসিত জন এর আরবী অনুবাদ হল মুহাম্মাদ (স)। পলাতক বলতে হিজরতকারী এবং ৬০ হাজার শত্রু বলতে তৎকালীন মক্কার অধিবাসীদের সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।
উপনরং নোন্তমসি সুক্তেন বচসা বর্ষ ভদ্রেন বচসা বয়মষ্ক
চনো দধি নো গিরোন রিক্ষেম কদাচন ॥ ১৪॥
অর্থাৎ- আমরা মহান বীরের প্রশংসা গান গাই আর সুমধুর সুরে তাঁর মহিমা কীর্তন করি। হে বীর! আমাদের এই স্তুতিগান গ্রহণ করুন তাহলে আমরা বিপদমুক্ত থাকব। -(অথর্ব বেদ- ২০ : ১৪ কুন্তাপ সুক্ত)
ঋগ্বেদ :
---------
বেদের আর একটি ভাগ হল ঋগ্বেদ । এ ভাগেও হযরত মুহাম্মাদ (স)-এঁর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা একটি সুক্ত উল্লেখ করছি-
অমস্বস্তা সতপতি মার্মহে মে গাব তেতিষ্ঠো অসুরো মঘীনঃ।
ত্রৈ বৃক্ষো অগ্রে দশভিঃ সহস্নৈর্বশানর ত্রয়ং রুনাশ্চিকেত॥
অর্থাৎ- সারথী, সত্যবাদী, সত্যপ্রিয়, অতিবুদ্ধিমান, শক্তিমান, দয়ালু, মামহ (মুহাম্মাদ) তাঁর বাণী দ্বারা আমাকে আশির্বাদ করেছেন। সর্বশক্তিমান (আল্লাহ)-এর দাস, সর্বগুণ সম্পন্ন, বিশ্বের শান্তি বাহক (বিশ্ব নবী) দশ সহস্র সহচরসহ খ্যাতি (মক্কা বিজয়) অর্জন করেছেন। (ঋগ্বেদঃ ৫: ২৭-১)
আলোচ্য শ্লোকে মামাহ শব্দের অর্থ হল মুহাম্মাদ (স), সর্বশক্তিমানের দাস অর্থ হল আল্লাহর দাস, বিশ্বের শান্তি বাহক অর্থ হল রহমাতুল্লিল আলামীন এবং মক্কা বিজয়কালীন দশ সাহাবার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদুর্বেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল যদুর্বেদ। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর রূপ বিবর্জিত ও একত্ব প্রসংগে বেদব্যসের এ প্রার্থনাটি বিশেষভাবে লক্ষণীয়-
রূপংরূপ বিবজ্জি তস্য ভবতো।
ধ্যানেন যৎ কল্পিতং।
স্তত্যা নর্বাচনীয় তাহা খিলগুরো দুরীকৃতা যন্ত্রয়া।
ব্যপিতষ্ণ নিরাকৃতং।
ভগবত যত্তীর্থ যাত্রাদিনা।
ক্ষন্তব্যং জগদীশ তদবিকল তাদোষত্রয়ং মৎকৃত্তম।
অর্থাৎ- তুমি রূপ বিবর্জিত, আমি ধ্যানে তোমার রূপ কল্পনা করেছি। তুমি অখিল গুরু ও বাক্যের অতীত, আমি স্তব দ্বারা সেই অনির্বচনীয়তা দুর করেছি। তুমি সর্বব্যাপী, কিন্তু আমি তীর্থ যাত্রাদী দ্বারা সর্বব্যাপীত্ব নিরাকৃত করেছি। অতএব হে জগদীশ! তুমি আমার বিকলতা দোষত্রয় ক্ষমা কর। - (যজুর্বেদঃ ১৭ : ৩০)
বেদব্যসের উল্লেখিত প্রার্থনাটি লক্ষ্য করলে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি পরিপূর্ণ একেশ্বর বাদী ছিলেন। এছাড়া তার পূর্বসুরী ঋষিগণও একেশ্বরবাদী ছিলেন, যাদের নিকট থেকে তিনি একত্ববাদের দীক্ষা লাভ করেছেন।
সামবেদ :
----------
বেদের আর একটি ভাগ হল সামবেদ। সেখানে একটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স), কুরআন ও নুরে মুহাম্মাদীর পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।
অহমিধি পিতুঃ পরিমেধা মৃতস্য জগ্রহ
অহং সূর্য্য ইবাজনি (সামবেদঃ গ্র২ : ৬ : ৮)
অর্থাৎ- আহমাদ (মুহাম্মাদ) তাঁর প্রভুর (আল্লাহ) নিকট থেকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ শরীয়ত (কুরআন) প্রাপ্ত হয়েছেন। আমি সূর্য রশ্মির ন্যায় তাঁর নিকট থেকে (নুরে মুহাম্মাদী থেকে) আলো গ্রহণ করি।
উত্তরায়ন বেদ :
----------------
উত্তরায়ন বেদ হল বেদের সার-সংক্ষেপ। সেখানে অনকাহি নামে একটি সুক্ত রয়েছে যা প্রাচীন কাল থেকে পরলোক যাত্রীর কানে পাঠ করার নিয়ম প্রচলিত। সুক্তটি হল-
লা ইলহা হরতি পাপম, ইল্ল ইলহা পরম পদম।
জন্ম বৈকুন্ঠ পর অপ ইনুতি, ত জপি নাম মোহাম্মদম॥
অর্থাৎ- ‘লা ইলাহা ইল্লাহ বললে পাপ মোচন হয় এবং উচ্চ পদবী লাভ হয়। যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করতে চাও মোহাম্মাদ নাম জপ কর।’
উল্লিখিত সুক্তটি মুসলমানদের মৃত্যুকালীন কলেমার তালকীনের অনুরূপ। যা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি যুগ যুগ ধরে ব্রাহ্মনগণ পরলোক যাত্রীর কানে কানে পাঠ করে আসছেন।
ভবিষ্যপুরাণ :
--------------
ভবিষ্যপুরাণ হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ। সেখানেও কয়েকটি সুক্তে হযরত মুহাম্মাদ (স)-এর পরিচয় ও আবির্ভাবের স্থান বর্ণিত আছে।
এতস্লিন্নন্তরে ম্লেচ আচার্যেন সমন্বিতঃ।
মহামদ ইতি খ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিতঃ॥ ৫॥
নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম্
গঙ্গাজলৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিতৈঃ
চন্দনাদিভিরভ্যর্চ তুষ্টাব মনসা হরম্॥ ৬॥
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরা সুরনাশায় বহু মায়া প্রবর্তিনে॥ ৭॥
ভোজরাজ উবাচ-
ম্লেচ্ছৈর্গুপ্তায় শুদ্ধায়সচ্চিদান
ন্দরূপিণে
ত্বং মাং হি কিঙ্করং বিদ্ধি শরণার্থ মুপাগতম॥ ৮॥
অর্থাৎ- ঠিক এ সময় মহামদ (মুহম্মাদ স) নামে এক ব্যক্তি- যার বাস মরুস্থলে (আরব দেশে)- আপন দলবলসহ আবির্ভূত হবেন। হে আরবের প্রভু! হে জগদগুরু! তোমার প্রতি আমার স্তুতিবাদ। তুমি জগতের সমুদয় কলুষতা নাশের বহু উপায় জান, তোমাকে নমস্কার। হে পবিত্র পুরুষ! আমি তোমার দাস। আমাকে তোমার চরণতলে স্থান দাও।
মহর্ষি বেদব্যস অন্যত্র বলেন : ভাবীকালে মহামদ জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁর নিদর্শন এই যে, মেঘখন্ড তাঁকে ছায়া দান করবে। তাঁর শরীরে কোন ছায়া থাকবে না। সাংসারিক ভোগ-বিলাসের প্রতি তিনি আকৃষ্ট না হয়ে সর্বদা পরকালের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আরবের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ তাঁর শত্র“তা করবে। তিনি প্রভুর প্রিয়পাত্র হবেন। প্রভু তাকে তাঁকে ত্রিশ অধ্যায় (পারা) বিশিষ্ট পুরাণ (কুরআন) দান করবেন।
কল্কি পুরান :
-------------
হিন্দুদের আর একটি ধর্মীয় গ্রন্থ কল্কি পুরাণ। সেখানে মানব জাতির শেষ অবতার (নবী) কল্কির পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে-
শম্ভলে বিষ্ণুুযশা সোগৃহে প্রাদুর্ভাবাম্য
হম
সমতাং মাতরি বিজেকণ্যায়নং তন্মিদেশতঃ ॥ ৫॥
অর্থাৎ- আমি শম্ভল দ্বীপে বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণের গৃহে সুমতি নামক ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে আবির্ভূত হব। -(৫ নং সুক্ত)
এখানে প্রাচীন শম্ভল দ্বীপ হল আরব উপদ্বীপ, বিষ্ণুযশা এর আরবী অনুবাদ আবদুল্লাহ এবং সুমতি এর আরবী অনুবাদ- আমিনা।
মহাভারত :
-----------
সর্বশেষ অবতার কল্কি সম্বন্ধে মহাভারতে বলা হয়েছে- কালক্রমে শম্ভল গ্রামে বিষ্ণুযশা নামে এক ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হবেন। মহাবীর মহানুভব কল্কি সেই ব্রাহ্মণ গৃহে জন্ম পরিগ্রহণ করবেন। তাঁহার মনন মাত্রই সমুদয় বাহন কবচ, বিবিধ অয়ুধ ও ভুরিভুরি যোদ্ধা উপস্থিত হবেন। তিনি ধর্ম বিজয়ী ও সম্রাট হয়ে পর্যাকুল লোক সকলের প্রতি প্রসন্ন হবেন। ক্ষয়কারী যুগ পরিবর্তক সেই দীপ্ত পুরুষ উত্থিত ও ব্রাহ্মণগণ পরিবৃত হয়ে সর্বত্র ম্লেচ্ছগণকে উৎসাহিত করবেন। -(কালী প্রসাদ সিংহের অনুবাদ:১৮১ অধ্যায়)
বেদ, পুরাণ ও মহাভারতের উল্লেখিত বর্ণনায় অকাট্যভাবে প্রমানিত হয় যে, সনাতন হিন্দু ধর্ম একেশ্বরবাদী ছিল। পূর্বপুরুষ ও পূর্বসুরী সাধকগণও একেশ্বর বাদী ছিলেন। হিন্দু সমাজের অনেক ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, সর্বশেষ অবতার কল্কি সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (স) ছাড়া আর কেহ হতে পারেন না। তাঁদের ধর্মগ্রন্থে আল্লাহর একত্ব ও শেষ নবী মুহাম্মাদ (স)-এর প্রশংসা ও আবির্ভাবের যে সব ভবিষ্যৎ বাণী আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে তা সেই মহাসত্যেরই প্রমাণ। তাই তাঁরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থেও নির্দেশনা মোতাবেক সেই মহাসত্যের ডাকে সাড়া দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে জীবনকে ধন্য করেছেন এবং অন্যান্যদের জন্য আদর্শ স্থাপন করেছেন
হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ :- রেফারেন্স সহ প্রমান দিলাম :- ১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ ) অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই । ২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) । রেফারেন্স সহ দিলাম । ৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥ বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)। “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) । “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) । ৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥ ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ] ৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ - [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।] ৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ – [ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।] জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন ।
👉 #বেদে 📕 মূর্তিপূজা #স্বীকৃত ☝, বেদে #ভগবানের #মূর্তি গড়ে তার পুজার 🌹🌼সম্পূর্ণ #বিধান রয়েছে।
ReplyDelete.
👉যারা বলেছে বেদে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ তারা
পড়বেন ____________
👉পবিত্র 🌺বেদে মূর্তিপূজা রেফারেন্সসহ প্রমাণ🌴🌴
_______________________________________
🚩কিরুপ প্রতিমা (মূর্তি) ? কিভাব নির্মান করে🔥 পুজা করবে তার প্রমাণ✔✅
___________________________________
🔵কচিৎ প্রতিমা কিং প্রতিমা
কিং নিরাধম অাদ্যম কিমানামৎ পরিধি কচিৎ।।
(📚 #ঋগ্বেদ - অষ্টম মন্ডল, ১৮ সুক্ত, তৃতীয় মন্ত্র)
👉 #অনুবাদ :- কি রুপে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি নির্মিত হবে কি নাম হবে তার?
.
ঈশ্বর বললেন ______________
🔵স্যাম--
অস্যসচামে মৃত্তিকাচামে কিরয়ষচামে পর্বতাসচামে।
শিখাতাসচামে বানস্পত্যচামে হিরন্যস্যচামে অপ্সচামে।
শাম্চ্যমে লোহশ্চ্যমে শিষ্যশ্চমে যঞ্জেন কল্পতাম্।
( 📚#যজুর্বেদ - অষ্টম অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র )
👉 #অনুবাদ :- প্রস্তর, মৃত্তিকা (মাটি) গীরি, পর্বত,শিষা (ধাতু) বালুকা(বালি) বৃক্ষ (কাঠ), সুবর্ণ, জল (পানি) লৌহ (লোহা) শিষা প্রভৃতি দ্বারা ঈশ্বরের শরীর রচনা কর যা যঞ্জের বিকল্প উপাসনা হিসেবে বিবেচ্য।
✔ #টীকা- এখানে মাটি, বালি জল,কাঠ, লোহা,তামা দ্বারা ঈশ্বরের বা দেবতার মূর্তি নিমার্ন এর উল্লেখ করা হয়েছে😤👌👌।
_____________________________
✌উক্ত মূর্তিতে ঈশ্বর বা দেবতাকে অাবাহন করার বিধি 🔥🔥🔥__________^____________
🌼এহষমা নোম মাতিষ
শমা ভবতুতে তননুঃ
( 📚 #অথর্ববেদ - কান্ড ২, অনুবাদ ৩ মন্ত্র -৪)
.
👉 #বঙ্গানুবাদ - এই পবিত্র মাটি ও প্রস্ততরে তুমি (ঈশ্বর/দেবতা) এসো, এই পাষান মাটি তোমার শরীর হোক।
_________________________________
👣 উক্তি প্রতিমূর্তিটি শোভনীয় হবে সেটাও বেদের বর্ণনা _______
শাং প্রর্সচাপ্রয়ো সাঃ সর্ন্তো ঃ
নুবিরিকম ময়া হি মনস্যা শাং শিবেন।।
📚 যযুবেদ- অষ্টম #অধ্যায় -১৬ নং মন্ত্র
👉 অনুবাদ:- #সুরর্ণাদি দ্বারা, পবিত্র জল হেতু সুসজ্জিত অঙ্গ প্রতঙ্গ সহিত রচিত ঈশ্বরের মূর্তি।
✅ #টীকা___ এখানে ভগবানের হাত পা সুসজ্জিত ভাবে নির্মাণ করতে বলা হয়ছে পবিএ রঞ্জ জল দ্বারা।।
_____________________________
#সহস্র প্রতিমূর্তি বিশ্বরুপম্
পরমঃ ঈশ্বর বিবির্ধ প্রতিমাঃ।।
( 📚 #যজু র্বেদ - অধ্যায় -১৩/মন্ত্র -৪১)
👉 অনুবাদ---- একই ঈশ্বরের অনেক রুপের প্রতিমা (দেবদেবী কল্পিত) বিশ্বে রচিত হোক!
|
|
|
✏✏✏✏📝এবার অাসি
বেদের পরে পুরানে _ _______________
#পুরাণাদি শাস্ত্রে 📝 দেবতার মূর্তি নির্মান ও পুজা:-
.
শৈল দারু মহি লৌহ লৌপ্য লৌক
সৈকৈতৈ মনো ময়ি মনিময়িঃ প্রতিমাস্থিতাঃ
👉 #সরলার্থ - শিলা (পাথর),দারু, সুর্বণাদি ধাতু, লৌপ্য(লোহা) মাটি চন্দনাদি দ্বারা চিত্তাকর্ষক মনোরম দেবতার প্রতিমা অধিষ্ঠিত করা।
( 📚👌 #স্কন্দ পুরান- ১১ নং শ্লোক)
.
✔টীকা- এখানে দেবতার মূর্তি স্থাপন করে পুজা করার বিধান রয়েছে।
.
#মাতস্য প্রতিমানাস্তি -- (📚 #বেদ ৫৬/৮৯/২৩)
👉#অনুবাদ - সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ২টি প্রতিমা হয় না, দেবদেবী ঈশ্বরের ২য় কোনো রুপ নয় তারা ঈশ্বরের বহিপ্রকাশ।
_____________________________
.
👉বেদে কোথায় উল্লেখ 📝👈নেই যে প্রতিমা 👋👏পুজা করলে #নরকে পাঠানো হবে বড়ং প্রতিমা পুজার বহু শ্লোক স্রুতি বেদে স্বীকৃত 👍👍, বাজারে বহু ফালতু বই বিত্রুি করে যেখানে বেদকে নিয়ে বিধর্মীদের মিথ্যাচারের😠😠 শেষ। এইডব ফালতু বই পড়াটা বোকামি ।
___________________________^
যারা বলবে বেদে 🙏মূর্তিপুজা নিষিদ্ধ তাদের এই পোস্ট টি Share 👌করুন নতুবা Copy করে paste ♻করে দিন।
এখন আমরা দেখবো বেদে কি আসলেই দুর্গা নেই এবং দুর্গাপূজার মতো মহাপূজা হঠাৎ করেই মাঠি ফুঁড়ে বের হয়েছে। কৃষ্ণ যজুর্বেদের অন্তর্গত তৈত্তিরীয় আরণ্যকে বলা হয়েছে-
ReplyDeleteতাং অগ্নিবর্ণাং তপসা জ্বলন্তীং বৈরোচনীং কর্মফলেষু জুষ্টাম,
দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে সুতরসি তরমে নমঃ।।
(তৈত্তিরীয় আরণ্যক-১০/২)
অর্থাৎ, অগ্নিবর্ণা তপ প্রদীপ্তা সূর্য ( বা অগ্নিস্বরূপিণী) যিনি কর্মফলের প্রার্থিত হন, সেই দুর্গাদেবীর আমি শরণাপন্ন হই, হে সুন্দররূপে, ত্রাণকারিণী, তোমাকে নমস্কার। ঋগবেদে দেবীসুক্ত যা দুর্গাপূজায় চন্ডীপাঠের পূর্বে পাঠ করা বিধি আছে, সেখানে দেবীকে পরমা প্রকৃতি, নির্বিকারা ও জগতের ধাত্রীরূপে বর্ণিত আছে।
সমস্ত দেবতার তেজ হতে দেবীদুর্গার আবির্ভাবের পর দেবী দুর্গা দেবতাদের ঋকমন্ত্রে নিজের পরিচয় দিলেন বলে দেবী পুরাণে উল্লেখিত আছে; আর সেই ঋকমন্তই হলো ঋগবেদের দেবীসুক্ত। এছাড়া বেদের রাত্রিসুক্তে কালী, শ্রীসুক্তে লক্ষ্মী এবং বাণীসুক্তে সরস্বতীর বন্দনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বেদ দেবতাদের মহিমাতে রূপ ও পূজাপদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। আর বেদকে স্বীকার করলে পুরাণকেও স্বীকার করতে হবে। কারণ, বেদ এবং বেদান্ত নিজেই পুরাণকে স্বীকার করেছে।
যেমন- ছান্দোগ্য উপনিষদ বলছে-‘ইতিহাস ও পুরাণসমূহ হলো পঞ্চম বেদ। আবার, অথর্ববেদ বলছে ‘ইতহাসস্য চ বৈ পুরাণস্য চ....চ’। যেহেতু বেদ পুরাণকে শাস্ত্র বলে স্বীকার করেছে, তাই পুরাণ মতেই দেবী দুর্গার রূপ ও পূজাপদ্ধতি প্রণীত হয়েছে। যাহোক, আবারো আমরা বৈদিক ধারায় ফিরে আসি। শুক্ল যর্জুবেদের বাজসনেয়ী সংহিতায় অম্বিকাদেবীর সাংখ্যায়ন গৃহ্যসূত্রে ভদ্রকালীর, কেন উপনিষদে দেবী উমার কথা পাই যারা দেবী দুর্গারই অপর নাম।
durga puja
যাজ্ঞিকা উপনিষদে দুর্গার গায়ত্রী আছে- ‘কাত্যায়নার বিমতে কন্যাকুমারীং ধীমহি তন্নো দুর্গি প্রচোদয়াৎ।’ এখানে দুর্গা সম্বোধনপদে দুর্গি হয়েছে। এতে কাত্যায়নী বা কন্যাকুমারী দুর্গার অপর নাম তা সকলেই জানে। এছাড়া গোপাল তাপনী উপনিষদ, নারায়ণ উপনিষদ ইত্যাদি বৈদিক গ্রন্থে দুর্গার উল্লেখ আছে।
আসলে যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, মন্ত্র ৯ প্রকৃত মন্ত্রে শামমূর্তি বলে কিছু নাই, আছে সম্ভুতি যেটাকে উনারা শামমূর্তি বলেছেন। সম্ভুতি অর্থটা যে শামমূর্তি, অসম্ভুতির অর্থ যে প্রাকৃতিক বস্তু এটাও পুরোপুরি সঠিক নয়, হ্যাঁ, কেউ কেউ এইরকম অর্থ করেছেন সবাই না। সম্ভূতি মানে সৃষ্টি, যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভুত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট তাহলে অসম্ভুতির মানে ঠিক তার উল্টো, অর্থাৎ বিনাশ। ৯ নং মন্ত্রে বলেছে যারা শুধুমাত্র অসম্ভুতি কিংবা সম্ভুতির পূজা করে, তারাই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, কারণ দুই রকম উপাসনার ফল ভিন্ন। ১১ নং মন্ত্রে যারা সম্ভুতি ও অসম্ভুতিকে একত্রে উপাসনা করে, তাদের সফলতার কথাই বলা হয়েছে। আমরা যদি এক্ষেত্রে সম্ভুতির অর্থ মূর্তিপুজাও ধরি, ১১ নং মন্ত্রে মূর্তিপুজাই করতে বলা হয়েছে।
ReplyDeleteন তস্য প্রতিমা অস্তি যশ্য নাম মহদ্যশঃ।
ReplyDeleteহিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ।। (যজর্বেদ ৩২/৩)
বাংলা অর্থঃ
উনার তুলনীয় কেউ নেই। তার মহৎ যশ আছে। 'হিরণ্যগর্ভ' ইত্যাদি, 'আমার প্রতি আসূয়া পরায়ণ হয়ো না', 'যা থেকে ইন্দ্র প্রভৃতি জাত, তিনি স্বরাট' ইত্যাদি বাক্যে সে পুরুষকে বলা হয়েছে।
এখানে এগুলো বলে পরমেশ্বরের প্রশংসা করা হয়েছে।
কিন্তু মূর্খের দল এটা উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা অনুবাদ শুরু করেছে।আরে মূর্খ সংস্কৃত আর বাংলা এক না।
প্রতিমা মানে হলো তুলনীয়।যেমন, ভ্রাতৃপ্রতিম,এখানে প্রতিম দ্বারা মত বুঝায় ভাইয়ের মত।ঠিক তেমনি প্রতিমা মানে তুলনীয়।তেমনি বাংলায় লিঙ্গ মানে পুরুষাঙ্গ বুঝালেও সংস্কৃতে "লিঙ্গ" মানে প্রতীক।
একজন কি করে পুরো শ্লোকটা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কিছু অংশ তুলে ধরে নিজেকে একজন ধর্মীয় শিক্ষাগুরু হিসেবে প্রচার করতে পারেন। এটা কি তার মূর্খতা, না তার চতুরতা এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের বিবেচক এবং বুদ্ধিমান পাঠকদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেহন্যদেবতাঃ।
ReplyDeleteতং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া।।২০।।
অনুবাদঃ জড় কামনা-বাসনার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে, তারা অন্য দেব-দেবীর শরণাগত হয় এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে বিশেষ নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।
যো যো যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি।
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্।।২১।।
অনুবাদঃ পরমাত্মরূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি।
স তয়া শ্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে।
লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান্ হি তান্।।২২।।
অনুবাদঃ সেই ব্যক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার আরাধনা করেন এবং সেই দেবতার কাছ থেকেই আমারই দ্বারা বিহিত কাম্য বস্তু অবশ্যই লাভ করেন।
দেখুন ২০ নং অনুচ্ছেদে মূর্তিপুজার কথা নেই, আছে দেবোপসনার কথা, এখানে নিষিদ্ধ করা হয় নি, অনুৎসাহিত করা হয়েছে মাত্র। কিন্তু ২১ ও ২২ নং মন্ত্রেই দেবোপসনা বা তাদের ভাষায় যেটা মূর্তিপুজা, তার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গীতা ১২ অধ্যায় ভক্তিযোগে ঈশ্বর/ভগবান নিজে মূর্তিপুজার অনুমতি দিয়েছেন।
অর্জুন উবাচ
এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।
অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।
শ্রীভগবানুবাচ
ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।
যে ত্বক্ষরমনির্দেশ্যমব্যক্তং পর্যুপাসতে।
সর্বত্রগমচিন্ত্যং চ কূটস্থমচলং ধ্রুবম্।।৩।।
সংনিয়ম্যেন্দ্রিয়প্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।
তে প্রাপ্নুবন্তি মামেব সর্বভূতহিতে রতাঃ।।৪।।
অনুবাদঃ যাঁরা সমস্ত ইন্দ্রিয় সংযত করে, সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন হয়ে এবং সর্বভূতের কল্যাণে রত হয়ে আমার অক্ষর, অনির্দেশ্য, অব্যক্ত, সর্বত্রগ, অচিন্ত্য, কুটস্থ, অচল, ধ্রুব ও নির্বিশেষ স্বরূপকে উপাসনা করেন, তাঁরা অবশেষে আমকেই প্রাপ্ত হন।
ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্।
অব্যক্তা হি গতির্দুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে।।৫।।
অনুবাদঃ যাদের মন ভগবানের অব্যক্ত নির্বিশেষ রূপের প্রতি আসক্ত, তাদের ক্লেশ অধিকতর। কারণ, অব্যক্তের উপাসনার ফলে দেহধারী জীবদের কেবল দুঃখই লাভ হয়।
এই সবিশেষ রূপই হলো ঈশ্বরের বিভিন্ন সাকার রূপ বা দেবদেবী।
এরা ভন্ডামির সুবিধার্থে আগের মন্ত্র পরের মন্ত্র বাদ দিয়ে প্রত্যেকটা মন্ত্রের আংশিক অর্থ উপস্থাপন করছে, যেটা এই পোস্টের অন্য কমেন্টগুলোতে আলোচনা করেছি। এখন পোস্টকারীর কাছে প্রশ্ন, আপনার ধর্মে কালিমা তায়্যেবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ থেকে ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বাদ দিয়ে শুধু লা ইলাহা বললে যেটা দ্বারায়, কোনো উপাস্য নেই, আপনি কি এটা মেনে নিবেন? অযথা অন্যধর্ম নিয়ে কেন মিথ্যাচার করেন তাহলে? আপনার বিবেক থাকলে করতে পারতেন না এসব।
ReplyDeleteআজ অল্লোপনিষদ নিয়ে আলোচনা করিব।
ReplyDelete-----------------------------------------------------
♥প্রায় জায়গায় বিশেষ করে ওয়াজ মাহফিলে মুসলিম ভায়েরা এই অল্লোপনিষদের উদ্ধৃতি টেনে বলে :- যে সনাতনধর্মে তাদের আল্লাহ ও নবীর নাম লেখা আছে এটা বলে তারা অল্লোপনিষদের কিছো উল্টো পাল্টা মন্ত্র পাঠ করে যেমন:- ( অল্লো আল্লাং মুহাম্মদং অল্লো রাসুল মুহাম্মদআকবরস্য হরতি পাপং ব্রহ্মং) ইত্যাদি - এগুলো বলে সাধারন হিন্দু ভাইদের মগজ ধোলাই করে তাদের মুসলিম বানানোর কাজ করে তারা-
।
।
★ তাই আজ এই অল্লোপনিষদ নিয়েই আলোচনা করিব এবং এর ইতিহাস কি এবং কার রচিত সেটাও দেখিব।
।
।
১/ অল্লোপনিষদ হচ্ছে উপনিষদ নামের একটা হাইস্যকর বিষয় অল্লোপনিষদের হাইস্যকর দিক হচ্ছে এতে মাত্র ১০ টি শ্লোক বৃদ্যমান। এবার আপনিই বলুন এটা কি হাইস্যকর নয়? 😁
।
২/ অল্লোপনিষদের ৩ নং শ্লোক দেখুন- ওখানে লেখা আছে - ( অল্লোরাসুল মোহাম্মদ আকবরস্য)
*এবার এই বাক্যটার সন্ধিবিচ্ছেদ ও অর্থ বের করে দেখা যাক-
অল্লোরাসুল = আল্লাহর রাসুল,,
মোহাম্মদ + আকবরস্য = মোহাম্মদ আকবর
।
অর্থাৎ এই লাইনটার অর্থ দাড়ায়:- আল্লাহর রাসুল হচ্ছে মোহাম্মদ আকবর।
।
৩/ ২ নং পয়েন্ট থেকে বোঝা যায় যে এই উপনিষদটি সম্রাট আকবরের সময়ে লেখা এবং আকবরের গুনগান করবার জন্য এটা লেখা হয় :- এই উপনিষদটি যে মানবে সে আকবরকে রাসুল তথা নবী মনে করিবে।
।
৪/ এ ছাড়াও আরো ভূল আছে যেমন -
অল্লোপনিষদে-
সংস্কৃত ও আরবি ভাষা ভাজাল-
।
যেমন (অল্লো রাসুল) এগুলো আরবি শব্দ- (হরতি পাপহং) এগুলো সংস্কৃত-
তা মন্ত্র কি আরবি আর সংস্কৃত ভজিয়ে হয়?😂 অল্লোপনিষদের লেখক কি জানিতনা যে মন্ত্র শুধু সংস্কৃত ভাষায় হয়?
।
৫/ আল্লোপনিষদের ৬ নং শ্লোকে বলা আছে (অল্লো ঋষিনাং) অর্থ :- আল্লাহই ঋষি।
।
মুসলিম ভায়েরা আমার এইসব ভুজুং ভাজুং মন্ত্রের অর্থ না জেই হিন্দুদের বিভ্রান্ত করবার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
।
কিন্তু দেখেনা যে এখানে আল্লাহকে ঋষি বলা হয়েছে- 😂
।
আর সনাতনধর্ম মতে ঋষি হচ্ছে মানুষ।
।
৬/ অল্লোপনিষদে ৮ নং শ্লোকে বলা আছে (ইল্লা করব ইল্লা কবর ইল্লাল্লেতি ইল্লাল্লা)
অর্থ:- আল্লাহর কবর আল্লাহর কবর আল্লাহই আল্লা।
।
* এবার আপনিই বলুন এ কেমন বাক্য?😂 প্রথমে আল্লাহকে কবর দেওয়া হলো পরে আল্লাহই আল্লা বলা হইলো।
।
৭/ অল্লোপনিষদের ৯ নং শ্লোকে বলা আছে ( অল্লোমূর্তং কুরু কুরু ফট 😁)
অর্থ:- আল্লাহর মূর্তি আছে। (বিদ্র:- কুরু কুরু ফট অর্থ আমার জানা নেই)
।
*এবার বলুন আল্লাহর মূর্তি আছে এটা আপনি মানেন?😁
।
৮/ অল্লোপনিষদের ১০ নং শ্লোকে বলা আছে (অসুর সংহারী্ অল্লোরাসূলো আকবরস্য)
অর্থ:- আল্লাহর রাসূল সম্রাট আকবর ছিলেন অসূর সংহারি।
।
।
* এবার মুসলিম ভাইকে জীজ্ঞাস করিতে হইবে যে আপনি কি মানেন আল্লাহর রাসূল বা নবী হচ্ছেন সম্রাট আকবর?
।
৯/ (২, ৪ ও ৮ নং পয়েন্ট) হইতে বোঝা যায় যে এই অল্লোপনিষদ যে লেখে যে সংস্কৃতে কাচা ছিলো এবং সে সম্রাট আকবরকে রাসূল বা নবী বানানোর জন্য এগুলো লেখে এবং সে সনাতনধর্মের অবুঝ ও সাধারন হিন্দুদের বিভ্রান্ত করার জন্য এগুলো লিখে যায় :- তাই অল্লোপনিষদ কোন গ্রন্হ নয় এটা হিন্দু তথা সনাতনধর্মের কোন বই নয় এটা একটা ফালতু বই যা আকবরের সময়কালে লেখা হয়। বর্তমান সময়ের কিছু অপপ্রচারকারী এই ফালতু বইটি দ্বারা সাধারন হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে।
বিশেষ করে মুসলিমেরা হিন্দুদের এটা দেখিয়ে উল্টা পাল্টা বোঝায়। কিন্তু মূর্খেরা এর সঠিক অর্থ না বুঝে লাফায় আবার কেহ কেহ ধর্মান্তরিত ও হয়।
।
১০/ উপনিষদ কাহাকে বলে? উত্তর:-
উপনিষদ হল বেদের জ্ঞানকান্ডের মুখ্য একটি অংশের ব্যাখ্যা। উপনিষদ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো যে বিদ্যা নির্জনে গুরুর সমীপে উপবিষ্ট হয়ে গ্রহণ করতে হয়, অর্থাৎ গুহ্যজ্ঞান। যে উচ্চ আধ্যাত্মজ্ঞান সনাতন ধর্ম ও সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্য তাই আলোচিত হয়েছে এই উপনিষদে। পরব্রহ্ম সম্বন্ধীয় যাবতীয় জ্ঞানের প্রাচীন ভান্ডার হল এই উপনিষদ।
উপনিষদ মূলত বেদের অন্তর্গত হইয়া থেকে বেদের বিভিন্ন মন্ত্র উপনিষদে উল্লেখ করে তার ব্যাখ্যা দেওয়া থাকে।
(কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে অল্লোপনিষদে কোন বেদ মন্ত্রও পাওয়া যায়না আবার কোন বেদের অন্তর্গতও না তাহলে এটা উপনিষদ হইলো কিরুপে?)
বৈদীক বেদানুকুর উপনিষদ পাওয়া যায় ১১ টি এবং সেগুলোই চুরান্ত উপনিষদ বলা হয় আর বাকি সব নাম মাত্র উপনিষদ।
১১টি উপনিষদের নাম যথা:-
১/কেনোপনিষদ।
২/কঠোপনিষদ।
৩/শেতাশত্বর উপনিষদ।
৪/ ঈশোপনিষদ।
৫/ঐতরেয় উপনিষদ।
৬/তৈত্তরীয় উপনিষদ।
৭/মুন্ডকোপনিষদ।
৮/মান্ডুক্যোপনিষদ।
৯/বৃহদারন্যকোপনিষদ।
১০/ছান্দগ্যপোনিষদ।
১১/ প্রশ্নোপনিষদ।
লা ইলাহা হরতি পাপম্ ইলইলাহা পরম পাদম্ ,
ReplyDeleteজন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি ত জপি নাম মুহাম্মদ"
অর্থঃ আল্লাহ এর আশ্রয় ব্যতিত পাপ মুক্তির কোন উপায়
নেই । আল্লাহর আশ্রয় প্রকৃত আশ্রয় । স্বর্গ পাওয়া .
প্রভুর পরিচয় লাভ এবং ক্ষমা পেতে হলে মুহাম্মদ সাঃ কেই
মানতে হবে ।
বৈকুন্ঠে জন্মলাভের আশা করলে তার আশ্রয় ব্তিত অন্য
কোন উপায় নেই । এজন্য মুহাম্মদ সাঃ এর প্রদর্শিত পথে
অনুসন্ধান অপরিহার্য ।
(মোটকথা ইসলামে দিক্ষিত হতে হবে । )
¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤¤ ¤¤¤
এবার দেখুন হিন্দু শাস্ত্রে আল্লাহ , মুহাম্মদ , রসূল শব্দ
যোগে শ্লোক ।
"হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রবোঃ ,
অল্লো, জ্যেষ্টং ,
পরমং , পূর্ণং , ব্রক্ষণং অল্লাম ।
অল্লো রসূল মুহাম্মদ রকং বরস্য অল্লো-অল্লাম ।
আদাল্লং বুক মেকং অল্লা বুকংল্লান লিখাতকম ।"
অর্থঃ অল্লোপণিষদ দেবতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও
সকলের বড় ইন্দ্রের গুরু । আল্লাহ পূর্ণ ব্রহ্ম , মুহাম্মদ
আল্লাহর রসূল । পরম বরণীয় আল্লাহই । তাঁর অপেক্ষা
শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই । আল্লাহ অক্ষয় , অব্যয় ,
স্বয়ম্ভু ।
এগুলো সবই অল্লোপনিষদের কথা, আর অল্লোপনিষদ যে জাল সেটা আগের কমেন্টেই বলে দিয়েছি।
ইসলামিক অপপ্রচার আর প্রকৃত সত্যের তফাত টা নিজেরাই দেখে নেই-
ReplyDelete1. কল্কি পুরান এ বলা আছে কল্কি অবতার এর পিতা মারা যাবে তার জন্মের পর কিন্তু মুহম্মদ এর ক্ষেত্রে উল্টো হয়েছিল। (1:2:15 Kalki Purna)
2.//কল্কি পুরান 2nd অধ্যায় ১৫নং অনুচ্ছেদে আছে যে
তিনি জন্ম নিবেন মাসের এক ১২ তারিখে ( মোহাম্মাদ (সঃ) ১২ ই রবিউল আউয়াল মাসের ১২তারিখে জন্ম গ্রহন করেছিলেন)//
এই দাব
3.//আর বলা আছে তার বাবার হবে বিষ্ণুইয়াসি যার অর্থ সৃষ্টিকর্তার গোলাম। আব্দুল্লাহ শব্দের অর্থ ও সৃষ্টিকর্তার গোলাম।//আসলে নামটা হবে বিষ্ণুযশ যার অর্থ "ঈশ্বরের গর্ব",সৃষ্টিকর্তার গোলাম নয়4.//সুমতিঃ “সু” অর্থ শান্ত এবং “মতি” অর্থ আত্মা বা হৃদয়। অর্থাৎ “সুমতি” শব্দের অর্থ পরিতুষ্ট আত্মা। আবরীতে “আমিনা” শব্দের অর্থও শান্ত বা পরিতুষ্ট আত্মা। (আমিনা নবীহযরত মুহাম্মদের মাতার নাম)//মতি অর্থ আত্মা তা এই প্রথম শুনলাম।হাহাহা4.//এবার আসুন সংস্কৃত “শম্ভুল” শব্দ কি বুঝানো হয়েছে?ভারতের বৈদিক যুগের পন্ডিতরা পৃথিবীর স্থলভাগকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।১.জম্বুঃ ভারত, তিব্বত ও চীনঅঞ্চল২.শাকঃ পারস্য ও ইরাক অঞ্চল৩.কুশঃ আফ্রিকা অঞ্চল৪.ক্রৌঞ্চঃ ইউনান বা গ্রীস৫.প্লক্ষ৬.পুষ্করঃ স্পেন ও ইতালী অঞ্চল৭.শম্ভুলঃ আরব অঞ্চল//৫.এই তথ্যটি জাকির কোথাথেকে পেলেন তা জানিনা।তবে শম্ভুল কোন অঞ্চল নয় বরং কল্কির জন্ম নেয়া গ্রামের নাম।আর এই গ্রামটি আরব এ নয় বরং যমুনা ও গঙ্গার মাঝামাঝি অবস্থিত।(Kalki purana 3/39)6.//সাধারণত সব হিন্দু বিশ্লেষক রা মানেন যে বেদে মোহাম্মাদ (সঃ) এর কথা বলা হয়েছে। কিন্ত সাধারন হিন্দুরা কেন জানি মানতে চায় না জানি না।//আরেকটা বড় মিথ্যা।কোন হিন্দু গ্রন্থবিশারদ ই এটা বলেননি।7.আরো কয়েকটি ব্যাপার যেমন কল্কি পুরান(3/43) এ লেখা হয়েছে তাকে তার গুরু রামদেব বেদ শেখাবেন।এখন কথা হল মুহম্মদ কি বেদ শিখেছিলেন?8.Brahmanda purana(1/2/31/76-106),vayu purana(58/75-110) হতে যানা যায় যে কল্কি পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রান্তে যাবেন এবং সেখানকার খারাপ লোকদের হত্যা করবেন,এতে আর খুব কম লোক ই অবশিষ্ট থাকবে এবং তাদের মাধ্যমে আবার সত্যযুগ শুরু হবে।এগুলো কি মুহম্মদ এর সাথে মেলে।9.কল্কি পুরান 3/43 এ দেয়া হয়েছে কল্কি এবং তার স্ত্রী নিরামিষভোজী ছিলেন।মুহম্মদ ও তার স্ত্রী ছিলেন কি?তাই এসব অপপ্রচার এর বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন
♥অবতার- সংস্কৃত: अवतार, IAST: avatāra, "আবির্ভূত দেবতা" ও "অবতরণ" বা "জীবদেহধারী ঈশ্বর বা দেবতা" ও "অবতরণ"।অবতার হল হিন্দুধর্মের একটি মতবাদ। পৃথিবীতে কোনও দেবতার আবির্ভাব বা আবির্ভূত জীবদেহকে "অবতার" বলা হয়।
ReplyDelete♦তো মুমিন ভাইদের কাছে প্রশ্ন -
১/ ১জন অবতার কল্কিকে তো নবী মোহম্মদ বললেন। আমি তর্কের খাতিরে মানলাম। তো অন্য অবতারগুলো কোন নবী??
২/বরাহ অবতার কোন নবী?
৩/নরসিংহ অবতার কোন নবী?
বি.দ্র: বিবর্তন মানবেন তো??😜
♥কল্কি- দেবনাগরী লিপি: कल्कि হিন্দুধর্মের একজন অবতার যিনি কলিযুগে মানব সমাজের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। কল্কি হচ্ছেন ভগবান বিষ্ণুর সর্বশেষ রূপ। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র পুরাণ থেকে জানা যায় কল্কি অবতার সাদা ঘোড়ার পিঠে খোলা তরবারী হাতে আবির্ভূত হবেন। কল্কি অবতার কলি যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্য যুগ শুরু করবেন।
♦মুমিন ভাইদের কাছে প্রশ্ন:
৪/কল্কি আসবে বেদ এর জ্ঞান প্রচার করতে ও সনাতন ধর্মকে রক্ষার্থে। তো আমি তর্কের খাতিরে মানলাম নবীই কল্কি। তিনি পবিত্র বেদ বানী প্রচার করছেন কী??
♥কল্কি অবতারের কারন-
কল্কি দেব আসবেন কলি যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্য যুগ প্রতিষ্ঠা করতে-
আমরা কল্কিপুরান ২য় অধ্যায় এর ৯ নং শ্লোকে দেখতে পাই যে কল্কি সত্য সনাতন ও সত্য যুগ প্রতিষ্ঠা করবেন।
(স্কিনশট দ্রষ্টব্য) ভাষ্যকর- স্বামী জগদীশ্বরানন্দ, ভগবতী প্রেস)
তো মুমিন ভাইদের কাছে প্রশ্ন-
৫/নবী মোহাম্মদ কী সনাতন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
৬/সত্য যুগ মানে শান্তি ও সম্প্রিতী। তর্কের খাতিরে মানলাম ইসলাম হল সনাতন ধর্মের নতুন নাম। তো সত্য যুগ প্রতিষ্ঠা হয়েছি কী?
♠বি.দ্র-অন্য দেশ বাদ দিলাম, মুসলিম দেশ ইরান,ইরাক,সিরিয়া,পাকিস্থান, আফগানিস্থানে চলছে মুসলিম মুসলিম যুদ্ধ। তারাও আছে ইমাম মাহদির অপেক্ষায়😜
♥এখন বন্ধুগন চলে যাবো কল্কি পুরানে। এটি সেই পুরান যেটা কল্কি অবতার নিয়েই রচিত।
♦কল্কি পুরান ২য় অধ্যায় শ্লোক নং ৪-
কল্কি বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণ এর ঘড়ে সুমতি নামক ব্রাহ্মণকন্যার গর্ভে আবির্ভুত হইবেন।
আমার প্রশ্ন-
৭/নবী মোহাম্মদের পিতা কী ব্রাহ্মণ ও মতা কী ব্রাহ্মণকন্যা ছিলেন?
অনেকে বলবে পুজো করলেই ব্রাহ্মণ হয়। তো আসুন পবিত্র বেদ হতেই দেখি ♥ব্রাহ্মণ কে--
ঋগবেদ ৭.১০৩.৮
যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, অহিংস, সৎ, নিষ্ঠাবান, সুশৃঙ্খল, বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী সে ব্রাক্ষ্মণ।
by তুলসি রাম-
Brahmanas engaged in the yearly soma yajna
for peace and harmony conduct the yajna in honour of
the Supreme Brahman and chant the Vedic mantras at
the end of the first year. The priests facing the fire and
soaked in sweat emerge as if from seclusion in the cave�.
আমার প্রশ্ন-
৮/মোহাম্মদের পিতা আবদুল্লাহ কী বেদ জ্ঞানী ছিলেন?
৯/তিনি কী প্রকৃত সনাতনী ছিলেন??
বি.দ্র: আবদুল্লাহ জীবনে ইসলাম গ্রহন করে নি। আর মোহাম্মদের মাতাও ইসলাম গ্রহন করেনি।
১০/পুরান মতে কল্কির পিতা মাতা পূর্বে হতেই প্রকৃত ধার্মিক থাকবেন। তবে কেন মুসলিমরা মোহাম্মদের পিতা মাতাকে কাফের বলে?
♥কল্কি পুরান, ২য় অধ্যায়, শ্লোক নং ৩৫-
ReplyDeleteকল্কির মাতা কল্কিকে উপনয়ন এর জন্য আহব্বান করেন।
(স্কিনশট দ্রষ্টব্য) ভাষ্যকর- স্বামী জগদীশ্বরানন্দ, ভগবতী প্রেস)
উপনয়ন একটি হিন্দু শাস্ত্রাণুষ্ঠান। এই অণুষ্ঠানের মাধ্যমে হিন্দু বালকেরা ব্রাহ্মণ্য সংস্কারে দীক্ষিত হয়। হিন্দু ঐতিহ্য অণুসারে, উপনয়ন হিন্দু বালকদের শিক্ষারম্ভকালীন একটি অণুষ্ঠান।
উপনয়ন অণুষ্ঠানে শরীরে যজ্ঞোপবীত বা উপবীত (চলিত বাংলায় পৈতে) ধারণ করা হয়। উপবীত প্রকৃতপক্ষে তিনটি পবিত্র সূতো যা দেবী সরস্বতী, গায়ত্রী ও সাবিত্রীর প্রতীক।
স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ৭-১৭ বছরের মধ্যে উপনয়ন হয়।
যারা কল্কি কে মহাম্মদ বানাতে চান তাদের কাছে প্রশ্ন-
১/মোহাম্মদের কী ৭-১৭ বছরের মধ্যে উপনয়ন হয়েছিল?
২/আমরা জানি তিনি ২৩ বছর বয়সে ফেরেস্তা জিব্রাইল এর কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন। তবে কী তা মিথ্য?
৩/কোন ব্রাহ্মণ তার উপনয়ন যোজ্ঞ করেছিলেন?
৪/মোহাম্মদ কী যজ্ঞোপবীত বা পৈতা ধারন করেছিলেন?
♥কল্কি পুরান, ২য় অধ্যায় শ্লোক ৩৪-৩৯
(স্কিনশট দ্রষ্টব্য) ভাষ্যকর- স্বামী জগদীশ্বরানন্দ, ভগবতী প্রেস)
এই শ্লোকগুলতে দেখা যায় কল্কির #পিতা জিবিত। তিনি তার সন্তানকেরুপী কল্কিকে বেদ এর জ্ঞান দিচ্ছেন।
এখানে এটাও স্পষ্ট যে তিনি নতুন কোন গ্রন্থ রচনা করবেন না। তিনি বেদ এর জ্ঞানই পুরো বিশ্বে প্রচার করবেন।
এটাও স্পষ্ট হয় যে, পবিত্র বেদ অক্ষয়। শুধু মানুষেরা ভুল পথে যাবে, তারা পবিত্র বেদ এর নামে অপপ্রচার করবে। তবে বিষ্ণযশার ন্যায় ধার্মিক ও বেদজ্ঞানী ব্যাক্তিগনও থাকবে।
যারা কল্কি কে মহাম্মদ বানাতে চান তাদের কাছে প্রশ্ন-
৫/মোহাম্মদের পিতা কি তার জন্মের পরও জিবিত ছিল?
৬/কল্কিকে মোহাম্মদ মানলে আবদুল্লাহ, মোহাম্মদের পিতা হয় কীরুপে??
৭/মোহাম্মদের পিতা তাকে বেদ বানী শুনিয়েছিল কি?
৮/মোহাম্মদ, কল্কি হলে তার তো বেদ বানী প্রচারের কথা ছিল। তিনি তা করেছেন কী?
৯/মোহাম্মদ কী ব্রাহ্মণ, সনাতন, উপনয়ন, বেদ, অবতার এসব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অবগত ছিলেন?
১০/কল্কি পুরান ও ভগবত পুরান মতে, কল্কি বেদ বানীই প্রচার করবেন। কিন্তু মোহাম্মদ কোরান প্রচার করলেন। তবে কী স্ববিরোধী ছিলেন? শাস্ত্র বিরুদ্ধ কর্ম করেছেন?
কল্কিকে দেবতারা যুদ্ধে সহায়তা করবে আবার বদরের যুদ্ধে ফেরেস্তারা নবীকে সাহায্য করেছিল। তাই কল্কি = মোহাম্মদ।
ReplyDeleteখুব সুন্দর বাশ খাওয়া যুক্তি😜
এখানে তাদের যুক্তি অনু্যায়ী দেবতা = ফেরেস্তা।
কল্কি = মোহাম্মদ।
তারা এটা ভুলে গেছে কল্কি হল বিষ্ণুর অবতার। আর বিষ্ণু হল দেবতা।
♥তাহলে সমীকরন দাড়য় কল্কি= মোহাম্মদ=বিষ্ণু=দেবতা=ফেরেস্তা
অতএব মোহাম্মদ = ফেরেস্তা
♥আবার যদি নবীকে মানুষ হিসেবে ধরি তো সমীকরন আসে-
মানব সন্তান = মোহাম্মদ = কল্কি = বিষ্ণু = দেবতা = ফেরেস্তা
অতএব
মানুষ = মোহাম্মদ = ফেরেস্তা = মানুষ
কি মুমিন ভাইরা মিথ্যাচারে খেলেন তো ধরা।
♦আমার প্রশ্ন :
১/নবী কী ফেরেস্তা?
২/ফেরস্তারা কী মানুষ?
৩/মানুষ ও ফেরেস্তা এক?.
♠এছাড়া তারা মিথ্যচার করে বেদ= জ্ঞান = কোরান। তাই কল্কির যে বানী প্রচারের কথা তা হলো কুরান।
♥এখানেও মুমিন ভাইয়েরা বিরাট রড় ভুল করে ফেলেছে। আসুন তাদের ভুলটা দেখায় দিই-
আমি তর্কের খাতিরে মানলাম বেদ ই হল কুরান এবং কল্কিই হলো মোহাম্মদ।
♥কল্কি পুরান ১ম অংশ, ২য় অধ্যায় এর ৩৭ নং শ্লোক এ বলা আছে যে বিষ্ণুর বানীই বেদ।( স্কিনশট ২ হতে দেখুন)
♦ওপরের সমীকরনে প্রমান করেছি মুমিন ভাইদের মতে বিষ্ণু = কল্কি= মোহাম্মদ
তবে অর্থ দাড়ায় বেদ= কুরান হলো বিষ্ণু = মোহাম্মদ এর বানী।।
♦আবার এটাও দেখিয়েছি বিষ্ণু = দেবতা = ফেরেস্তা
তাহলে বেদ= কোরান হলো বিষ্ণু = দেবতা = ফেরেস্তার বানী।
আমার প্রশ্ন-
৪/এখনও কী বেদ ও কুরান এক বলবেন?
৫/বেদ = কুরান হলে। এটি মোহাম্মদের রচিত। মানবেন কী?
৬/দেবতা = ফেরেস্তা হলে। কোরান হল ফেরেস্তা, তথা জিব্রাইলের বানী। মানবেন কী?
♥এখন আসি কল্কির আবির্ভাব ও তিরোভাব নিয়ে-
♥কল্কি পুরান ১ম অংশ ২য় অধ্যায় শ্লোক ৪ ও ৮ (স্কিনশট ৩ দেখুন)
শ্লোক ৪ এ বলা আছে কল্কি আবির্ভুত হবেন। অর্থাত যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি আসবেন না।
শ্লোক ৮ এ বলা আছে কল্কি সত্য যুগ ও সনাতন ধর্ম পুনর্প্রতিষ্টা করে বৈকুন্ঠ বা বেহেস্তে গমন করিবেন।
আমার প্রশ্ন-
৭/নবী মোহাম্মদের কী অলৌকিক ভাবে জন্ম হয়েছে?
৮/তিনি কি সত্য যুগ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন?
৯/তিনি কি সনাতন ধর্মের প্রচার করেছেন?
১০/মোহাম্মদের রুহু বা আত্মা কী বেহেস্তে আছে না এখনো পৃথিবীতে?
এই পর্বে মুসলিমদের কথিত কল্কি পুরান ৩০/৩-৪ মিথ্যাচরের জবাব ও কল্কি কতৃক রাজশূয় ও অশ্বমেধ যোজ্ঞের প্রমান।
ReplyDeleteবন্ধু গন কোরানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী,তাজিয়া, মসজিদে লাউড স্পিকার স্বীকৃত না থাকলেও তারা মানে কেন? আসলে ওরা নিজ ধর্ম ছেড়ে অন্যের পিছনে লাগতে পছন্দ করে। তবে সনাতনীরা জেগেছে, তাই যবনদের দিন শেষ।
মুসলিমরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কল্কি পুরান হতে দেখাতে চেষ্ঠা করে যে কল্কি পুরহিত ও তিলকধারীদের বিনাশ করবেন। কিন্তু ৩য় অংশ ১৬ অধ্যায় এর ৩-৪ নং শ্লোকে মূল বইয়ের অনুবাদে ভিন্ন অর্থ। সেখানে আছে সকলে তিলক ধারন করবে। যারা ধর্ম ব্যাবস্যায় লিপ্ত তারা বিলুপ্ত হবে ও বেদ বানী প্রচারিত হবে। লিংক
কল্কি পুরান নিয়ে ৩০/৩-৪ এর জবাব। প্রমান সহ (ঐচ্ছিক পোস্ট)
এখন আসি কল্কি পুরান ৩য় অংশ ১৬ অধ্যায় (মুমিনদের কথিত ৩০ অধ্যায়)। (অনুবাদক -শ্রী জগম্মোহন তর্কালঙ্কার,বৈদীক যন্ত্র, কলকাতা,বগ্বাজার)
এখানের ৭ নং শ্লোকটি(পৃষ্ঠা ২৭৫) নিম্নরুপ-
রাজসূয়ৈব্বাজপেয়ৈরমেধৈর্ম্মহাত্বনঃ|
নানাযাগৈঃ কর্ম্মতন্ত্রৈরীজে ক্রুতুপতিং হরিম্ ||
সরলার্থ-কর্মকান্ডের অন্তর্গত রাজসূয় যজ্ঞদারা, অশ্বমেধ যজ্ঞদারা ও অন্যান্য নানাবিধ যজ্ঞদারা যজ্ঞপতি শ্রীহরির অর্চনা করিব।
তো বন্ধুগন আপনারা দেখলেন যে কল্কি পুরানে কল্কি একজন সনাতন ধর্মালম্বী এবং বিভিন্ন যজ্ঞ করবেন। তো যে সব মসলিম ভাই কল্কিকে মুসলিম ও মোহাম্মদ বলে ভ্রম করেন তাদের নিকট প্রশ্ন-
১/মোহাম্মদ কি জানত যজ্ঞ কাকে বলে?
২/মোহাম্মদ কি যজ্ঞ করত?
৩/কল্কি = মোহাম্মদ হলে তিনি যজ্ঞ করেছিলেন। তো আপনারা মুসলিমগন বিপথে গেলেন কেন?
৪/মুসলিমগন যজ্ঞ করেন না কেন? (যেহেতু কল্কি = মোহাম্মদকে অনুসরন করা সুন্নত😁)
৫/মুসলিমগন, এখানে শ্রীহরি =????
(আবার আল্লাহ বলে শিরক করবেন না😃)
তো মুসলিম ভাইগন যারা মোহাম্মদ = কল্কি মানেন, তারা দ্রুত সনাতন ধর্মে,সত্য ধর্মে ফিরে আসুন। নতুবা মোহাম্মদ যে কল্কি নয় এটা স্বীকার করুন।
মুহাম্মদের জন্মের আগে মুহাম্মদের (মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ) পিতা আব্দুল্লাহ মারা যায় কিন্তু যুগাবতার কল্কি অবতারে পিতা জীবিত ছিল যার কারণে বিষ্ণযশ পুত্র কল্কির মুখ দর্শন করতে পেরেছে ।
ReplyDelete মুহাম্মদ কাফের বংশে জন্ম গ্রহণ করেছেন আর যুগাবতার কল্কি অবতার ব্রাহ্মন ঘরে জন্ম গ্রহণ করবেন ।
মুহাম্মদের পিতা অমুসলিম অবস্থায় এবং কাফের অবস্থায় মারা যায় যা আমরা প্রথম কোরইশ বংশ থেকে , প্রথম যিনি ইসলাম গ্রহণ ( মহাম্মদের চাচাতো ভাই আলী) করে সেই ঘটনা পর্যালোচনা করে পাই , যুগাবতার কল্কির সময় কেউ কোন ধর্ম গ্রহণ করবে না । কল্কি শুধু অধার্মিকদের নাশ করবেন ।
মুহাম্মাদ (সা.) এর পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব , যুগাবতার কল্কি অবতারের পিতার নাম বিষ্ণযশ । মুসলমানরা শুধু আবদুল্লাহ এর অর্থ করে কিন্তু ইবনে আবদুল মুত্তালিব এর অর্থ করে না ? ইবেন আব্দুল মুত্তালিব , আবদুল্লাহ হলে মুহাম্মদ তো আবদুল্লাহ । । কারণ মুহাম্মদের নামে তো স্পষ্ট ভাবে আবদুল্লাহ কথাটি উল্লেখ আছে । নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ।
★আর বলা আছে তার বাবার নাম হবে বিষ্ণুযশ যার অর্থ সৃষ্টিকর্তার গোলাম । অপরদিকে নবী মুহাম্মদ এর পিতার নাম আবদুল্লাহ শব্দের অর্থও সৃষ্টিকর্তার গোলাম ! ব্যাকরনে অতি দুর্বলতার লক্ষণ হল এটি । বিষ্ণুযশ শব্দের অর্থ "ঈশ্বরের মহিমা" , সৃষ্টিকর্তার গোলাম নয় ।
★ বিষ্ণু অর্থ পালন করতা বা স্রষ্টা এবং যশ অর্থ খ্যাতি বা প্রসংশা বা মহিমা।
তাই বিষ্ণুযশ অর্থ স্রষ্টার সর্বময় খ্যাতি বা মহিমা।
★প্রশ্ন-
৪/আলী বা আবদুল্লা অর্থ কী স্রষ্টার সর্বময় খ্যাতী হয় কী??
এখন আসি কল্কির মাতা নিয়ে অপপ্রচারের জবাবে-
মুহাম্মদের দুধ মা ছিল যার নাম হালিমা বিনেতে আবু জুয়াইব ( হালিমা সাদিয়া) কিন্তু কল্কির কোন দুধ মা ছিল না মুসলমানগণ ।
সংস্কৃতে সুমতি অর্থ হল বুদ্ধিমতি অথবা উত্তম বুদ্ধির অধিকারি , শান্তি নয় মুসলমানগণ । সুমতি একজন নারী নাম ।
আরবিতে আমিনা অর্থ শান্তি হতেই পারে মুসলমানদের নিকট , তাহাতে আমার মাথা ব্যাথা নাই কিন্তু সংস্কৃতে সুমতি শব্দের অর্থ শান্তি নয় বুদ্ধিমতি অথবা উত্তম বুদ্ধি, অথবা জ্ঞানবান অথবা ন্যায়বান। ।
আমিনা মানে শান্তি নয় প্রকৃত অর্থে আমিনা অর্থ হল বিশ্বস্ত মহিলা । মুসলমানরা শুধু মাত্র সনাতনিদের বিভ্রান্ত করার জন্য , মনগড়া “সুমতি” অর্থ শান্তি দিয়ে আমিন মানেও শান্তি তৈরী করে সনাতনিদের বিভ্রান্ত করছে এবং করেই যাবে ।
মুসলমানরা কখন কি বলে নিজেও জানে না একথা বলার কারণ হল :
মুসলমানদের হঠাৎ করে জিজ্ঞেস করবেন আমিনা মানে কি? বলতে পারবে না । অনেক ভেবে চিন্তে হয়ত বলবে মুহাম্মদের মাতা নাম আমিনা । আর কল্কির মাতার সাথে মুহাম্মদের মাতার নামের অর্থগত মিল তৈরী করে মুসলমানরা দাবি করে আমিনা মানে শান্তি । মেনে নিলাম আমিনা মানে শান্তি । তাহলে মুসলমানগণ , আমিনা শব্দটি হল স্ত্রীলিঙ্গ । সেই আমিনা কখন পুরুষলিঙ্গ “সালাম” শব্দে রুপান্তির হয়ে শান্তি হয়ে গেল ।
• আমিনা = শান্তি ( স্ত্রীলিঙ্গ ) , সালাম=শান্তি (পুংলিঙ্গ )।
প্রশ্ন-
৫/তাহলে যাদের নাম সালাম তাদের কে সালাম নামে ডাকলে কি আমিনাকে ডাকা হবে?
• ৬/সালাম মানে শান্তি , ইসলাম মানে কিভাবে শান্তি হয় হয় মুসলমানগণ আত্মসমর্পণ না হয়ে ?
৭/ সালাম শব্দের আগে ই যোগ করে ইসলাম রুপান্তর করা হয়েছে , তাহলে কি করা আর ইকরা অর্থ একই অথবা আম ও আমড়া কি একই ?
• ৮/আমিনা মানে শান্তি হলে , মিনা মানে কি মুসলমানগণ যেখানে সালাম ও ইসলাম মানে এক হয় সেখানে মিনা ও আমিনা মানে এক হবে না কেন ?
এই রকম শব্দের খেলা যদি আমি খেলি তবে আমিও চৈতন্যমহাপ্রভুকে মুসলমানদের শেষ ইমাম, মেহেদি বানাতে পারি! ইমাম শব্দের অর্থ বলতে সেই পণ্ডিত ব্যাক্তিকে বোঝাই যে নামাজের পরিচালনা করে অর্থ্যাৎ যে পণ্ডিত ব্যাক্তি উপাসনার পরিচালনা করে এবং মেহেদি শব্দের অর্থ সুপথের সন্ধান প্রাপ্ত। শ্রীচৈতন্য কে-মহাপ্রভু ও কৃষ্ণনাম কীর্তনের পরিচালক হিসাবে ভূষিত করা হয়(ইমাম) এবং তিনি হরেকৃষ্ণ নামের মাধ্যমে মানুষের সুপথ সন্ধান করেছেন(মেহেদি)এরসঙ্গে তিনি শান্তির বাণীর প্রচারক(ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি)। তাহলে অর্থগত বিশ্লেষণ করে দাঁড়ালো চৈতন্যমহাপ্রভুই সেই ইমাম মেহেদি! আশা করি আমার এই শব্দের খেলা মুসলমানেরা মেনে নেবে!
ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
ReplyDeleteবেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
♥জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
♦ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
♦ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
♦মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
♥জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
ReplyDelete[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
"হোতারমিন্দ্র হোতারমিন্দ্র মহাসুরিন্দ্রা
ReplyDeleteঅল্লো জ্যেষ্ঠাং শ্রেষ্ঠাং পরমং পুর্ণ ব্রাক্ষণ অল্লাম
অল্লোরাসুলমহমদকং বরস্যে অল্লো অল্লাম
আদহাল্লাহবকুমে ককম অল্লাবুক নিখাতকম"
এই কথিত মন্ত্রটিতে নাকি বলা হয়েছে আল্লাহ ও নবী রাসুলকে মানার কথা!!
এই মন্ত্রের রেফারেন্স চাইলে জ্ঞানপাপীরা কেউ বলে অল্লোপনিষদ,কেউ বলে কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব আবার কেউ বলে অথর্ববেদ!!
জবাব,
অথর্ববেদের শাকল্য উপনিষদ নামের কোন উপনিষদই নাই।
অর্থববেদের উপনিষদ তিনটি,
মুন্তক উপনিষদ,
মান্ডুক্য উপনিষদ,
প্রশ্ন উপনিষদ।
অল্লোপনিষদ কোন হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়।সম্রাট আকবর হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করতে, বিভ্রান্ত করতে ও তার প্রবর্তিত দীন-ই-এলাহী নামক ধর্মের প্রচার করতে এই বইটি লিখেছিলেন।বইটি কারা লিখেছিলো তা এই বইয়ের সংস্কৃত দেখেই বুঝা যায়।
সম্রাট আকবরের পর হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে ধর্মান্তরিত করতে হিন্দু ভুয়া পন্ডিতের নাম করে কাঁচাপাকা সংস্কৃত শব্দ অং,হোং,চোং ব্যবহার করে কল্কি অবতার ও মোহাম্মদ সাহেব বইটি লিখা হয়।
“লা ইলহা হরতি পাপম ইল্ল ইলহা পরম পদম। জন্ম বৈকুণ্ঠর অপ ইনুতিত জপি নাম মোহাম্মদম।”
এর রেফারেন্স বলা হয়,উত্তরায়ণ বেদ, অন কাহি, পঞ্চম পরিচ্ছেদ
এর মানে নাকি, লা ইলহা পাঠ করলে সব পাপ দূর হয়।স্বর্গ লাভ হয়।স্বর্গ পেতে হলে মুহাম্মদকে অনুসরণ করতে হবে।
জবাব- সংস্কৃত ভাষার নমুনা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই এই ষড়যন্ত্র!!!!
হা,হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্রের আরেক অস্ত্র এটি। আর বর্তমানের বোকা হিন্দুরা তো জানেই না বেদ কয়টা!!!
আসলে উত্তরায়ণ বেদ নামে কোন বেদই নেই।
হিন্দু ধর্মে বেদ চারটি।
সামবেদ,
ঋগ্বেদ,
অথর্ববেদ,
যজুর্বেদ।
তো এখানে উত্তরায়ণ বেদ আসলো কোথা থেকে?? আর এই বিকৃত মন্ত্রইবা এলো কোথা থেকে??
ধর্মজ্ঞানহীন হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ধর্মান্তরিত করার জন্যই কি জঘন্য মিথ্যাচার!!!
৪. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ্যাচার হলো গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩
ReplyDelete[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
জবাবঃ
আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
৫. ভূয়া, বানোয়াট তথ্যঃ
বেদের ব্রহ্ম সুত্র তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই ।
জবাবঃ
ব্রহ্ম সুত্র বেদের নয়।ব্রহ্ম সুত্র উপনিষদ দর্শনের ব্যাখ্যা।
৬. ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
“সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ২ঃ৪৫ঃ১৬)
জবাবঃ
ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??
৭. ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ১ঃ২ঃ৩) ।
জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,
ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
অর্থঃ
হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
*সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।
৮. মিথ্যা তথ্যঃ
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ১০ঃ১২১ঃ৩) ।জবাবঃ
ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,
ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
অর্থঃ
যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?
গীতার বহু যায়গায় দেবদেবীর উপাসনা করতে বলা হয়েছে।
ReplyDeleteগীতা দ্বাদশ অধ্যায় শ্লোক ১-২
অর্জুন উবাচ
এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।
অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।
শ্রীভগবানুবাচ
ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।
অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।
https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-bangla-gita.html?m=1
গীতা ৩য় অধ্যায় শ্লোক ১২
ইষ্টান্ ভোগান্ হি বো দেবা দাস্যন্তে যজ্ঞভাবিতাঃ।
তৈর্দত্তানপ্রদায়ৈভ্যো যো ভুঙক্তে স্তেন এব সঃ।।১২।।
অনুবাদঃ যজ্ঞের ফলে সন্তুষ্ট হয়ে দেবতারা তোমাদের বাঞ্ছিত ভোগ্যবস্তু প্রদান করবেন। কিন্তু দেবতাদের প্রদত্ত বস্তু তাঁদের নিবেদন না করে যে ভোগ করে, সে নিশ্চয়ই চোর।
https://krishnalela.blogspot.com/2019/02/bangla-gita-chapter-3.html?m=1
গীতা ৯ম অধ্যায় শ্লোক ২৩
যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম্।।২৩।।
অনুবাদঃ হে কৌন্তেয়! যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাঁদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধি পূর্বক আমারই পূজা করে।
https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-gita-in-bengali-chapter_20.html?m=1